২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়ারূপ

-

চুয়াল্লিশ.
আবার যেসব প্রাপ্তবয়স্ক আত্মা প্রচণ্ড কষ্ট পেয়ে অপঘাতে মারা যায়, যেরকম আগুনে পুড়ে, আগুনে পুড়ে মরার চেয়ে কষ্টের মৃত্যু আর হতে পারে না, সেসব আত্মারা পৃথিবীতে খারাপ আত্মা বা প্রেতাত্মারূপেই ফিরে আসে এবং মানুষকে অনিষ্ট করতে চেষ্টা করে। ওর সাথে একটা ভালো আত্মা দেখা দিলেও কোনো এক বিচিত্র কারণে খুব খারাপ একটা প্রেতাত্মাও দেখা দিয়েছে এবং তার শক্তিও অনেক বেশি। সে কারণেই ও সামাল দিতে পারেনি।’
আমার বেশ শক্তপোক্ত মা হঠাৎ ডুকরে কেদে ওঠার মতো করে বলল, ‘আমার এতটুকু কচি ছেলেটার ওপর এসব হচ্ছে কেন?’
‘কেন হচ্ছে তা কেউ বলতে পারে না মা। এসব ব্যাপার অব্যাখ্যেয়। এসব আত্মা প্রেতাত্মা কখন কার ওপর ভর করবে, কাকে তাদের মনে ধরে বসবে কেউ বলতে পারে না।’
আব্বা তাড়াতাড়ি বললেন, ‘জিনের ব্যাপার নিয়েই লোকজন বলাবলি করছিল।’
‘হ্যাঁ, জিনের প্রসঙ্গে আসি। এটা জিনের কাজ নয়। আমার পোষা জিনদের ডেকে আমি শুধু সওয়াল জওয়াব নয়, খোঁজ নিয়ে জেনেছি কোনো জিন ওর সাথে এই কাজ করেনি।’
আব্বা ইতস্তত করে বললেন, ‘এই বাড়ি বন্ধন দিয়ে তিনটে জিনকে বশীভূত করেছিলেন জিনসাধক কেরামত মাওলা। ওই জিনগুলো বাড়ির দক্ষিণ দিকের বাঁশঝাড়ের মধ্যে বোতলবন্দী করে পোঁতা আছে।’
জিনসাধক বললেন, ‘কেরামত মাওলা আমার গুরুজী ছিলেন। জিনসাধনা আমি তার কাছ থেকেই শিখেছি। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement