১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়ারূপ

-

তিতাল্লিশ.
ওও এসেছিল। পরে। আমাকে বাঁচিয়েছিল।
জিনসাধক চোখ খুললেন। মায়ের দিকে তাকিয়ে আমাকে ভেতরের ঘরে নিয়ে যেতে ইশারা করলেন। আব্বার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, ওকে একটু বিশ্রাম নিতে দেন। কিছু খাওয়ান।’
আব্বা বললেন, ‘গ্লুকোজ দেয়া হয়েছে। একটু শরবত করে দিতে বলি।’
আমাকে ভেতরের ঘরে আনার পর জিনসাধক আব্বা আর মায়ের সামনে ব্যাপারটা খোলসা করলেন। মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি সেদিন বলেছিলাম মা, ওর সাথে সাথে একটা আত্মা ঘোরে। আপনার ছেলেও তা জানে। ওর বন্ধু আত্মা যাতে চলে না যায় সেজন্য ও মিথ্যে বলেছিল।’
আব্বা মায়ের দিকে রাগত চোখে তাকিয়ে বললেন, ‘তুমি আমাকে কিছু বলোনি তো?’
মা থমথমে গলায় বলল, ‘বলার মতো কিছু ছিল না।’
ব্যাপারটা ঝগড়ার দিকে চলে যেতে পারে দেখে জিনসাধক তাড়াতাড়ি বললেন, ‘ওর বন্ধু আত্মা ভালো হলেও ও এখন একটা খারাপ আত্মার খপ্পরে পড়েছে। সাধারণভাবে যাকে বলে প্রেতাত্মা।’
আব্বা মা দুজনেই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
‘একটু বুঝিয়েই বলি। অপঘাতে মৃতরাই সাধারণ ভাষায় ভূত প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। কেউ কেউ অপঘাতে মারা গেলেও বয়স কম থাকায় বাস্তব দুনিয়ায় নিজেরা খারাপের মধ্যে জড়িত না থাকায় সেসব আত্মা পৃথিবীতে ভালো আত্মা হিসাবেই ফিরে আসে। অতৃপ্ত সেই আত্মা তখন কারো আশ্রয় গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে তার ভালো করতেই চেষ্টা করে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement