ছায়ারূপ
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৮ মে ২০২২, ০০:০০
বিয়াল্লিশ.
যা হোক, মাগরিবের আগে আগেই জিনসাধক এসে হাজির হলো। গ্রামের উৎসুক লোকেরা জড়ো হলেও আব্বার অনুরোধে তারা নিরস্ত হলো। বিপদে আপদে ডাক্তারের কাছেই তাদের ছুটে আসতে হয় বলে আব্বার অনুরোধ ওদের কাছে আদেশের মতো।
ঘরের মধ্যে বিছানায় শোয়া আমাকে বারান্দায় জিনসাধকের সামনে আনা হলো। আমাকে দেখেই জিনসাধক চমকে উঠলেন। সেই চমকানি আব্বা মা কারোর নজর এড়াল না। কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন করল না।
আমাকে সামনে রেখে জিনসাধক ধ্যানস্থ হলেন। সেই ধ্যানরত অবস্থায় চোখ বন্ধ করেই খুব মোলায়েম গলায় আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার সাথে আগে থেকেই একটা আত্মা থাকে, তাই না?’
আমার কণ্ঠস্বর যেন অন্য জগত থেকে ভেসে এলো, ‘হ্যাঁ, থাকে।’
মা এই সময়ে আমার সাথে কেউ থাকে না এই জাতীয় কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে চাইছিল, কিন্তু জিনসাধক চোখ বন্ধ অবস্থাতেই হাত দিয়ে ইশারা করে মাকে থামিয়ে দিলেন।
‘তুমি চাইলেই তাকে ডেকে নিয়ে আসতে পারো?’
‘সব সময় পারি না।’
‘ও কি তোমার বন্ধু? তোমার ভালো করে?’
‘হ্যাঁ। আমার বন্ধু। আমার ভালো চায়।’
‘আজ দুপুরেও তুমি ওকে ডেকে আনতে চাইছিলে, তাই না?’
‘হ্যাঁ।’
‘কিন্তু সেই আত্মা আসেনি, তাই না? তার বদলে একটা ভয়ঙ্কর ভূত এসেছিল?’
‘হ্যাঁ। পোড়া ভূত। আগুনে পোড়া। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা