২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়ারূপ

-

একচল্লিশ.
এরকম সময়ে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ভ্যান গাড়িতে শুইয়ে প্রায় অর্ধচেতন আমার আগমনে আব্বার দিনটাই বদলে গেল।
ডাক্তারি চিকিৎসা সেবা শ্রুশ্রƒষা আর গ্লুকোজটøুকোজ দেওয়ার ফলে আমি একটু সুস্থ হয়ে উঠলাম। কিন্তু আমার ভেতর থেকে সেই ভয় দূর হলো না। গ্রামের লোকের কথা এবং আমার সিম্পটম দেখে আব্বাও বুঝতে পারলেন শুধু ডাক্তারি চিকিৎসায় ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করা যাবে না। ডাক্তারি চিকিৎসায় হয়তো ছেলের শারীরিক সমস্যাগুলো দূর করতে পারবেন কিন্তু মনের ভয় কাটাতে গেলে জিন চিকিৎসার দরকার। ডাক্তার হলেও ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসাবে তিনি জিনে বিশ^াস করেন। কাজেই আব্বা আমাকে বাড়িতে নিয়ে এলেও সবুরকে দিয়ে পাশের গ্রামের জিনসাধককে খবর পাঠালেন।
বাড়িতে এসে আমি ফ্যাল ফ্যাল করে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগলাম।
আব্বা মা আর আপুর জেরার মুখে শুধু একটা অস্পষ্ট শব্দই আমার মুখ থেকে বের হলো, ‘পোড়া!’
সেই শব্দটা নিয়েই আব্বা এবং মায়ের মধ্যে একটু বাকবিতণ্ডা হলো। মা বলতে চাইল, ‘তোমার ওই পুকুর খুঁড়ে পাওয়া পোড়া হাড় গোড়ের ভয় ওর মনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। সেজন্যই পোড়া পোড়া করছে।
আর আব্বা বললেন, ‘এটুকু পোড়া হাড় গোড় দেখেই মূর্ছা গেলে হবে কিভাবে! এই কঠিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে ওকে যে ওর চেয়ে আরো অনেক পোড়া অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওকে ডাক্তার হতে গেলে ওসব তো দেখতেই হবে।’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement