আকাশের ওপারে আকাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
একশ’পাঁচ
বেলাল রিয়াজের কথা পুরোপুরি বুঝল না। ছায়া, ডাইনি এসব কথা ঠিকমতো না বুঝলেও এটুকু বুঝতে পেরেছে এই অদ্ভুত জগতে এসে রিয়াজ বেশ কিছু ক্ষমতা অর্জন করেছে। ডাইনির জুতো, ফুলের গন্ধ, ছায়ার সখ্যতাই এসবের প্রমাণ। তা ছাড়া আরেকটা জিনিস বুঝতে পেরেছে, এই ছেলে গোটা দুনিয়া ঘুরে হলেও মাকে খুঁজে বের করবে। তার মানে ও আবার পৃথিবীতে ফিরে যাবে। এই ছেলের সাথে থাকলে সে আবার জিনপরীর রাজ্য থেকে পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবে। ফিরে যেতে পারবে নিজের মায়ের কাছে। মায়ের মুখ তার ঠিক মনে পড়ে না। শুধু মনে পড়ে মা! বেলাল বলল, ঠিক আছে, চলো আমরা এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। তাই যা থাকে কপালে।
ওরা গাছের গুঁড়ির ডালপাতা সরিয়ে বেরিয়ে পড়ল। বাইরে বেরিয়ে মনে হলো সন্ধ্যা হতে চলেছে। এখনি রাত নামবে। এখন কিভাবে কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নেমে আসার কারণে ছায়ার সাথেও কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারবে না। কারণ রাতের অন্ধকারে কোনো ছায়া পড়ে না। শুধুমাত্র চাদের আলোতেই কিছুটা ছায়াদের দেখা যায়। অন্ধকারে ছায়ারা বিলীন হয়ে যায়।
বেলাল হতভম্বের মতো বলল, এবার কী করব? দীর্ঘদিন জিনপরী রাজ্যে বাক্সবন্দী হয়ে থাকার কারণে বেলালের শরীর বেশ দুর্বল। একটু হাঁটলেই হাঁপ ধরে যায়।
বেলালের দুর্বল অবস্থা দেখে রিয়াজ বলল, এখানে এই গাছের নিচে দুজনে একটু বসি। দেখি কোনোভাবে আমার সেই তিতলী পরীর সাথে যোগাযোগ করতে পারি কিনা।
কিভাবে যোগাযোগ করবে?
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা