২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

একশ’ এক
দেখলে আমি ঠিকই চিনতে পারতাম।
তুমি মাকে চেন।
আশ্চর্য। চিনব না কেন? তোমার মা মানেই তো আমার মা। আমি তো তোমারই ছায়া। তাহলে মাকে চিনব না কেন?
তাহলে তো তুমি গোটা পৃথিবীটা ঘুরে মাকে খুঁজে দেখতে পারো।
সে তো পারিই।
‘তাহলে এখান থেকে বেরিয়ে তুমি পৃথিবীতে মাকে খুঁজতে চলে যাবে।
তুমি বললে যাবো।
তাহলে চলো তাড়াতাড়ি এখান থেকে বেরিয়ে যাই।
ভয় পেয়ে পালানো পরীরা আর কোনো ঝামেলা করতে না আসায় রিয়াজ দুই ছায়াকে সাথে নিয়ে বেশ ধীরেসুস্থে দুষ্ট পরীরাজ্য থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর বেলালকে খুঁজতে জঙ্গলের পথ ধরে।

ঘন গহিন জঙ্গলের মাঝে দুই ছায়া সাথে থাকায় রিয়াজের ভয় করে না। তাছাড়া ডাইনি বুড়ির বাড়িয়ে দেয়া সাহসে সে অনেক সাহসী। সাহসী রিয়াজ জঙ্গলের পথ ধরে হাঁটতে থাকে।
কিশোরী ছায়া রিয়াজকে বলে, ছায়াদের কোনো শরীর না থাকায় শারীরিক শক্তি নেই। কিন্তু অন্য শক্তি আছে।
কি সেই শক্তি? ছায়া রিয়াজ প্রশ্ন করে।
ছায়ারা বলতে গেলে মুহূর্তের মধ্যেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যেতে পারে।
তাহলে আমরা এরকম আস্তে আস্তে হাঁটছি কেন?
হাঁটছি মানুষ রিয়াজের জন্য। ও তো আর আমাদের মতো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে না। আর ওর পায়েও সেই দ্রুতগামী জুতো নেই। কাজেই ওর সাথে তাল মেলাতে গেলে তো হাঁটতেই হবে। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement