২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

চুয়াত্তর.
আনন্দ স্কুলের গেটে বড় বড় রুপালি হরফে লেখা ‘আনন্দের সঙ্গে যে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় তাই প্রকৃত শিক্ষা।’ প্রতিদিন স্কুলে যেতে ও স্কুল থেকে ফিরতে লেখাটা চোখে পড়ে রিয়াজের। লেখাটার কারণে নয়, সব শিক্ষা সে আনন্দের সাথে গ্রহণ করছে বলেই তার মনটা সবসময় আনন্দে পূর্ণ থাকে। শুধু মাঝে মাঝে মা বাবা বোন এবং নিজের দেশের কথাটা মনে পড়া ছাড়া বাকিটা সময় সে আনন্দের সাথেই সবকিছু গ্রহণ করে।
আনন্দ স্কুলে তার অনেক পরী বন্ধু হয়ে গেছে এই কদিনেই। তবুও বাড়িতে তিতলীকে বাদ দিলে স্কুলের মধ্যে তার সবচেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড প্রথম দিনেই বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়া সেই বুলবুলি নামের পরীটি। প্রথম দিনের বন্ধুই বোধ হয় প্রকৃত বন্ধু হয়।
বুলবুলি পরী রেসিডেন্সিয়ালে থাকে। শুধু মানুষ বলেই তাকে স্কুল শেষে বিশাল গেট পেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিতে হয়। অন্যরা স্কুলের মধ্যেই থেকে যায়। স্কুলের পরীদের সাথে তার এত বন্ধুত্ব হয়ে গেছে যে আনন্দ স্কুলের গেট পেরুতেই তার মন খারাপ হয়ে যেতে থাকে। বাড়িতে এলে অবশ্য আবার তিতলী পরী ও তার মাকে দেখে মন ভালো হয়ে যায়।
তার সাথে কলকলিয়ে কথা বলতে বলতে বুলবুলি পরী প্রতিদিনই তাকে এগিয়ে দিতে স্কুলের গেট পর্যন্ত আসে।
আজও এসেছে। স্কুলের গেট পর্যন্ত এসে বুলবুলি পরী আবার স্কুলের দিকে যেতেই সে মন খারাপ করে গেটের বাইরে এসে দেখে তিতলী পরী দাঁড়িয়ে। তার পাশে দশাসই একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ পরী।
তিতলী পরী রিয়াজের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলে, ‘তোমাকে যে কাকার কথা বলেছিলাম না এই দেখো সেই কাকাকে নিয়ে এসেছি। কাকা আজই পৃথিবী থেকে ফিরেছে। সাথে সাথেই ধরে তোমার কথা বলে দেখা করতে নিয়ে এসেছি।


আরো সংবাদ



premium cement