২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ন্যামদাফা উদ্যানের কথা

-


আজ তোমরা জানবে ন্যামদাফা জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে। এ উদ্যানে রয়েছে পাতুক বন, লতাকুঞ্জ, বাঁশঝাড় ও
বেতবীথিকা। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ

ন্যামদাফা জাতীয় উদ্যানের কথা বলছি। এটি যেন প্রকৃতির কোলে প্রাগৈতিহাসিক এক অভয়ারণ্য। ১৯৭২ সালে এ উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়।
ধারণা করা হয়, ন্যামদাফা জাতীয় উদ্যান ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সংরক্ষিত এলাকা; অভয়ারণ্য। আয়তন প্রায় ১ হাজার ৯৮৫ বর্গকিলোমিটার। ১৭৭ বর্গকিলোমিটার বাফার জোন এবং ১ হাজার ৮০৮ বর্গকিলোমিটার মূল উদ্যান। সাগরসমতল থেকে উদ্যানের উচ্চতা স্থানভেদে ২০০-৪ হাজার ৫৭১ মিটার। ইন্দো-চীনা উপঅঞ্চলের এ উদ্যানের পানি নির্গমনপথ নোয়া-দেহিং, দেবান ও ন্যামদাফা নদী। উদ্যানে রয়েছে পাতুক বন, লতাকুঞ্জ, বাঁশঝাড় ও বেতবীথিকা। উত্তরাংশে চিরহরিৎ জঙ্গল। ন্যামদাফায় বিভিন্ন ধরনের স্তন্যপায়ী দেখা যায়। এখানে রয়েছে তুষারচিতা, মেঘবরণ চিতা, সাধারণ চিতাবাঘ ও বাঘ। আছে বন্যকুকুর, নেকড়ে ও এশিয়াটিক কালো ভালুক এবং ভোঁদর। এখানকার জঙ্গলে হাতি, লাল পাণ্ডা, লাল শিয়াল, হলদে গলার মার্টেন, বিনতুরং, বিভিন্ন জাত ও আকারের গন্ধগোকুল বেজি, মেছোবিড়াল, এশিয়াটিক সোনালি বিড়াল, বিভিন্ন ধরনের বানর ইত্যাদি দেখা যায়।
ন্যামদাফা উদ্যানে রয়েছে প্রায় ৪২৫ প্রজাতির পাখি। ছোট পাখি থেকে শুরু করে বেশ বড় আকারের শিকারি পাখিও দেখা যায় এখানে।
উদ্যানের অভ্যন্তরে লিসু উপজাতির কিছু বসতি রয়েছে। বেশির ভাগ লিসু বাস করে ভারত-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে, উদ্যানের পূর্ব অংশে। উদ্যানের চার দিকে চাকমা, ত্যাংসা ও সিংফো বসতি দেখা যায়।
ন্যামদাফা জাতীয় উদ্যানের অবস্থান উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশের চ্যাংল্যাং জেলায়। এটি দুর্গম অভয়ারণ্য হিসেবে বিবেচিত। উদ্যানের কাছের বিমানবন্দর আসামের ডিব্রুগড়ের মোহনবাড়ি। দূরত্ব ফরেস্ট রেস্ট হাউস থেকে ১৮২ কিলোমিটার। কাছের রেলওয়ে স্টেশনও প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। কাছের বাস স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৯১ কিলোমিটার।


আরো সংবাদ



premium cement