২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

আটান্ন.

‘কিন্তু একটু একটু করে বাঁচিয়ে তো একেকজন অনেক টাকা জমাতে পারে।’
‘জমিয়ে কী লাভ? সবকিছুই তো সরকার দেখভাল করছে। সবার একই রকম থাকার ব্যবস্থা। একই রকম বাড়ি। একই রকম সুযোগ সুবিধা।’
‘নিজের ছেলেমেয়ের জন্য জমাবে।’
‘এখানে তো কোনো ছেলেমেয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে থাকে না। বাচ্চারা হাঁটতে শিখলেই তাদের সরকারি নার্সারিতে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয়। সেখান থেকে একদম পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠা পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়। ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য সরকারের বিশাল বিশাল রেসিডেন্সিয়াল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানেই সবাইকে থাকতে হয়।একদম ছোট শিশু ছাড়া রাস্তাঘাটে তুমি ছেলেমেয়ে খুব একটা দেখতে পাবে না। কারণ ওরা সবাই এখন রেসিডেন্সিয়াল শিক্ষালয়ে।’
‘তুমি তো দিব্যি বাইরে ঘোরাফেরা করছ। শুধু যে বাইরে তা না তোমাদের রাজ্য ছেড়ে পৃথিবীতে গেছ। তোমার কি শিক্ষা শেষ?’
‘না না। আমি এখন ছুটিতে আছি। সব ছাত্রছাত্রী বছরের কোনো না কোনো সময়ে একটা বড় ছুটি পায়। সেই ছুটি সে নিজের ইচ্ছেমতো কাটাতে পারে। তারপর আবার তাকে শিক্ষালয়ে ঢুকতে হয়। তোমার জন্য খাবারের দোকানে এসে গেছি।’
খাবারের এই বড় দোকানটাতে ঢুকে রিয়াজ দেখে যে এখানটাতে বেশ ভিড়। আগুনের খাবারের আইটেম দু-একটা থাকলেও অনেক বয়স্ক পরী পৃথিবীর খাবারের আইটেমের ওপর ঝুঁকে আছে। মনে হয় এরা কোনো একসময় পৃথিবীতে কাটিয়ে এসেছে। এজন্য পৃথিবীর খাবারের মায়া ভুলতে পারেনি।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement