২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

ছাপ্পান্ন.

বাসায় তেমন খাবার নেই। আমাদের পরীদের খাবার নেই। আর তোমার খাবার তো নেইই। তুমি কি আমার সাথে দোকানে যাবে নাকি শুয়ে বিশ্রাম নেবে?’
রিয়াজ তড়াক করে লাফিয়ে উঠে বলল, ‘অবশ্যই দোকানে যাবো। ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখে আসা হবে। আর তাছাড়া আবার কে না কে এসে রাজা রানীকে খোঁজে। আমি তো কিছুই বলতে পারব না।

রুপালি রাস্তার দুধারে প্রচুর দোকানপাট। সবই একই টাইপের গোলাকৃতির উপরে গম্বুজ। কিন্তু দোকানের ভেতরের সওদাপাতি রকমফের। দোকানের কাচের দরজার আড়ালে কোনো দোকানি নেই। খদ্দেররা তাদের পছন্দমতো জিনিসপত্র ট্রলি ঠেলে ঠেলে বাস্কেটে ভরে নিচ্ছে এবং একটা নির্দিষ্ট কাউন্টারের সামনে রাখা প্রতিটি জিনিসের গায়ের দাম দেখে নির্দিষ্ট দাম পাশে চারকোনা রুপালি বাকসে রাখছে।
তিতলী পরী রিয়াজকে নিয়ে একটা খাবারের দোকানে ঢোকে। এখানে আগুনের তৈরি হরেক রকমের খাবার থরে থরে সাজানো। প্রতিটি খাবারের পাশে দাম লেখা। রিয়াজ চেয়ে চেয়ে দেখে আগুনের ফলমূল,আগুনের পিঠাপুলি, আগুনের সন্দেশ রসগোল্লা,আগুনের নুডলসজাতীয় খাবার, আগুনের ফাস্টফুড। তিতলী বেছে বেছে তার পছন্দ কিছু আগুনের খাবার কিনে কাউন্টারে এসে ফ্রকের পকেট থেকে রুপালি পয়সা বের করে ক্যাশবাকসে ফেলে বলল, ‘এ দোকোনে তোমার খাওয়ার উপযুক্ত কোনো খাবার নেই। সব আমাদের খাবার। চল মোড়ের দিকে একটা ভ্যারাইটি স্টোর আছে ওখানে তোমার জন্য কিছু খাবার পাওয়া যেতে পারে। আগুনের খাবার খেতে খেতে আমাদের যখন অরুচি ধরে যায় তখন আমরা ওই সব খাবার খাই। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement