২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

একান্ন.
রিয়াজ একটু ইতস্তত করে।
তিতলী পরী মিষ্টি স্বরে বলে, ‘দাড়িয়ে গেলে কেন? ভেতরে এসো।’
‘তোমাদের এখানের দারোয়ান কই? ব্যাটা কাজে ফাঁকি দিচ্ছে বোধ হয়।’
তিতলী পরী কিছুটা অবাক হয়ে বলল, ‘দারোয়ান? দারোয়ান কি কাজে আসবে?’
রিয়াজও অবাক হলো। এতবড় তোরণ বানিয়ে রেখে তা হাট করে খোলা রেখে এখন জিজ্ঞেস করছে দারোয়ান কি হবে? বেশ বোকা মেয়ে তো!
সে বিরক্ত হতে গিয়েও স্বাভাবিক গলায় বলল, ‘কেন দারোয়ান পাহারা দেবে। প্রাচীরের ফটক পাহারা দেবে। প্রাচীর বানিয়ে তোরণ রাখা হয় তো পাহারা দেয়ার জন্যই।’
তিতলী পরী ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে মুদৃ হেসে বলল, ‘বুঝেছি। তোরণ দেখেই পাহারাদারের কথা ভাবছ। এক সময় হয়তো আমাদের রাজ্য পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হতো। আমার পূর্বপুরুষরা যখন এই নগরীর গোড়াপত্তন করে তখন অন্য পরীরাজ্য, ডাইনি রাজ্য, জিন প্রেত দেও দানো সবাই এই সুন্দর নগরীর আকর্ষণে আকৃষ্ট হতে থাকে। তখন আমাদের পূর্বপুরুষরা পরীরাজ্য নজীবীনের চারিদিকে বিশাল প্রাচীর তৈরি করে। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের এখানকার রীতিনীতি শাসন ব্যবস্থা খোলনলচে এমনভাবে পাল্টে ফেলা হয় যে এত সুন্দর একটা দেশকে কেউ আর আক্রমণের কথা ভাবে না। আমরা পরীরা সব একতাবদ্ধ। আর যে দেশের সবাই একতাবদ্ধ তেমন দেশকে আক্রমণের কথা কেবল বোকারাই ভাবে। চলো ধীরে ধীরে সবকিছু আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবে।’
তিতলী পরীর পিছু পিছু তোরণ পেরিয়ে নজীবীন রাজ্যের রাস্তার পা দিয়েই রাজ্যের অপরূপ সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধিয়ে গেল রিয়াজের।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement