২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

ঊনচল্লিশ.

রিয়াজ কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। সে অবাক করা চোখে ছায়াটির দিকে তাকিয়ে বলে ‘তোমার কথার মাথামুণ্ডু তো আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’
‘বুঝিয়ে দিচ্ছি বাছা। একটু ধৈর্য ধরো। তোমাদের মানে শরীর ও ছায়াসহ মানুষের ধৈর্য বড় কম। বড় অস্থির হয়ে থাকে এই শরীরের মানুষগুলো। অথচ আমরা মানে ছায়াদেও ধৈর্যের কোনো অভাব নেই। আসলে আমাদের কোনো কিছুরই অভাব নেই। শুধু শরীর ছাড়া। ও, যেটা তোমাকে বোঝাতে চাচ্ছিলাম। পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষ জন্মানোর সাথে সাথে তার ছায়াও জন্ম নেয়। তার সাথে সাথে ছায়াও একটু একটু করে বড় হতে থাকে। সে যখন মারা যায় ছায়াটাও চলে যায়। এই ছায়ার ব্যাপারটা কি জানো? এখানে একটা রাজ্যে আছে ছায়া রাজ্য। সেখানে সব ছায়াদের বাস। সেটা ছায়াদের দেশ বলতে পারো। পৃথিবীতে কেউ জন্মানোর সাথে সাথে ছায়ারাজ্য থেকে একটা এক্কেবারে শিশু ছায়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। আর কেউ মারা গেলে তার ছায়াটা সাথে সাথে এই ছায়ারাজ্যে চলে আসে। ব্যাপারটা কি তোমাকে একটু হলেও বোঝাতে পারলাম?
রিয়াজ উপর নিচ মাথা নাড়ে। তারপর আস্তে করে ধরা গলায় জিজ্ঞেস করে ‘আচ্ছা, আমার মা কি আছে তোমাদের ছায়ারাজ্যে? ছায়া হয়ে?’
‘তোমার মা কি মারা গেছে?’
‘তা আমি ঠিক জানিনে। আমার মা হারিয়ে গেছে। কোথায় গেছে কেউ জানে না। কেউ বলতে পারে না। হয়তো মরে গেছে।’
‘মরে গেলে অবশ্যই আমাদের ছায়া রাজ্যে থাকবে। এখানে যাদের দেখছ তারা তো আর সব ছায়ারা না। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement