২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কিল্যারনি জাতীয় উদ্যানের কথা

কিল্যারনি জাতীয় উদ্যানের কথা -

আজ তোমরা জানবে কিল্যারনি জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে। কিল্যারনি এলাকায় প্রায় ৪ হাজার বছর ধরে মানুষের বসবাস রয়েছে। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
কিল্যারনি জাতীয় উদ্যানের কথা বলছি। এটি বিশ্বের বিখ্যাত উদ্যানগুলোর একটি। কিল্যারনি শহরের পাশে অবস্থিত এ উদ্যান আয়ারল্যান্ডের প্রথম জাতীয় উদ্যান। সবুজ বনের শ্যামলিমা, হ্রদ, পর্বত আর বাগান উদ্যানটিকে করেছে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। ১৯৮১ সালে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব জীবমণ্ডল সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।
বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাস কিল্যারনি জাতীয় উদ্যান।
এখানকার বনে ওক ও য়িউ গাছের (ঘন সন্নিবিষ্ট গাঢ় সবুজ পত্রযুক্ত চিরশ্যামল এক ধরনের গাছ) সারি নয়ন কাড়ানিয়া। পর্বত, বন, হ্রদের ধার- সব এলাকায় লাল হরিণের আনাগোনা। এ হরিণের রয়েছে লালচে বাদামি লোম। এ ছাড়া আছে সিকা হরিণ। ১৮৬৫ সালে জাপান থেকে কিল্যারনিতে এ হরিণ আনা হয়েছিল। উদ্যানে ব্যাংক ভোলও (ইঁদুরজাতীয় প্রাণী) রয়েছে।
কিল্যারনি উদ্যানে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তৃণবাজ, দাঁড়কাক, মার্লিন, রবিন ইত্যাদি।
উদ্যানে রয়েছে তিনটি হ্রদ। অপার সৌন্দর্যে তিনটি হ্রদই অনন্যা। এখানে ট্রাউট ও স্যামন মাছ পাওয়া যায়।
উদ্যানের মুক্রস হাউজে পরিদর্শকদের জন্য রয়েছে প্রধান তথ্য অফিস। এটা সারা বছরই খোলা থাকে। মুক্রস হাউজের কাছে দেয়ালঘেরা বাগান কেন্দ্রে কফিশপ এবং রেস্তোরাঁ আছে, যা সারা বছরই খোলা থাকে।
গ্রীষ্মকালেও উদ্যান এলাকা বেশ ঠাণ্ডা থাকে। এ সময় ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বাড়ে। কিল্যারনি শহরকে বলা হয় এ উদ্যানের প্রবেশদ্বার। ভ্রমণকারীরা সাধারণত এ শহর হয়ে উদ্যান পরিদর্শন করে।
কিল্যারনি জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন প্রমোদের ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাইকেল চালনা, বনপথে দীর্ঘ পদযাত্রা, নৌকা চালনা, হাঁটাচলা বা শরীরচর্চা, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি প্রধান।
কিল্যারনি এলাকায় প্রায় চার হাজার বছর ধরে মানুষের বসবাস রয়েছে। তাম্র যুগে এখানকার রস দ্বীপের খনি থেকে তামা তোলা হতো।
জাতীয় উদ্যানের কেন্দ্রে প্রায় চার হাজার হেক্টর আয়তনজুড়ে রয়েছে বার্ন ভিনসেন্ট স্মৃতি উদ্যান, আগে যার পরিচিতি ছিল মুক্রস এস্টেট নামে। ১৯১১ সালে ডব্লিউ বি বার্ন নামে এক ব্যক্তি তার মেয়ে মডের বিয়ের উপহার হিসেবে এ এস্টেট কেনেন। মডের বিয়ে হয়েছিল আর্থার ভিনসেন্টের সাথে। ১৯৩২ সালে মডের মৃত্যুর পর এস্টেটটি আর্থার ভিনসেন্ট এবং তার শ্বশুর-শাশুড়ি আইরিশ সরকারকে দান করেন। এ বছরই প্রতিষ্ঠিত হয় কিল্যারনি জাতীয় উদ্যান।
উদ্যানের আয়তন প্রায় ১০২ দশমিক ৮৯ বর্গকিলোমিটার।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল