১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

সাইত্রিশ.

মায়ের হাত ধরা কিশোরী ছায়াটা তার মুখোমুখি হয়। তার মায়ের ছায়াটা তার কানে কানে কী যেন বলে। মা মেয়ে দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কানাকানি করলে প্রখর চাঁদের আলোতে তাদের ছায়াটা যেমন দেখাত ওদের দুজনকে তেমন দেখায়। তবে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না।
কিশোরী ছায়াটা তার রিনরিনে কিশোরী কণ্ঠে ঠিক মানুষের মতোই বলে ওঠে, ‘তুমি কে? এখানে এসেছ কিভাবে?’
সে ঢোক চিপে ভাবে, সে যে রিয়াজ নামের হতভাগ্য ছোট্ট অসহায় মানুষ, সত্যি বলতে গেলে চাকর। এটা জানাবার আগেই কিশোরীটির রিনরিনে কণ্ঠ বাঁশি বাজায় ‘তুমি তো পৃথিবীর মানুষ। তোমার তো এখানে আসার কথা নয়? আর এলেও এভাবে শরীর নিয়ে চলে এসেছ কিভাবে?’
সে কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না। এখানে আসাটা যে ভুল হয়েছে তা সে এতক্ষণে বুঝে গেছে কিন্তু সে তো আর নিজের ইচ্ছেয় আসেনি। আর শরীর নিয়ে আসাটা যে অপরাধ তা তো সে জানত না।
সে ইতস্তত করে ম্যা ম্যা করে কোনো মতে বলল ‘আমি তো নিজে থেকে এখানে আসিনি। আমাকে নিয়ে আসা হয়েছে।’
তার কথা শেষ হওয়ার আগেই মেয়েটা আবার বলল, ‘তুমি কি মরে গেছ? কিন্তু মরে গেলে তো শরীর থাকে না। শুধু ছায়া থাকে।’
কিশোরীর মায়ের ছায়া আলতো করে মেয়েটির কাঁধ চেপে এরকম একটা দৃশ্যের অবতারণা করে যে দেখেই বোঝা যায় ওসব মৃত্যুর প্রসঙ্গ কারোর মুখের উপরে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে নেই। তাহলে সে কষ্ট পায়।
রিয়াজের নিজেরও কেমন যেন খটকা লাগে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement