২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

সাতল্লিশ.

থানা পুলিশের সাথে তো আমার খুব একটা ভালো পরিচয় নেই। আর থানার লোকেরা বড় হোমড়া চোমড়া কারো ফোন না পেলে এই রাতে কেমন গুরুত্ব দেবে কে জানে!। আমি একটা কাজ করতে পারি। দেখি আমার বন্ধু প্রতিবন্ধী স্কুলের হেডস্যারের সাথে কথা বলে কোনো ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। তুই কি নিশ্চিত ওরা ওই পোড়োবাড়ির দিকেই যাবে?’
‘হ্যাঁ’। টিপু বলল। একশ ভাগ নিশ্চিত সে। ওদের কথোপকথনে পোড়োবাড়ির কথা শুনেছিল। তাছাড়া সন্ধ্যায় রনি আর মিঠু সাইকেলে করে চলে গেলেও ও বাড়িতে চলে যাচ্ছে এরকম ভাব দেখালেও বাড়িতে যায়নি। আবার পোড়োবাড়িতে ফিরে গিয়েছিল। ফিরে গিয়ে লুকিয়ে থেকে শুনতে পেয়েছিল ওদের গলা। ওপাশ থেকে তিনজনের গলা শুনেছিল। ‘ওস্তাদ, লটারির টাকা লুট করতে পারলে কি এখানেই নিয়ে আসব?’
‘ওস্তাদ না, বল বস।’
‘বস?’
‘হু। এদিকটাতে কেউ আসবে না। ওই ছেলে তিনটা ঘুর ঘুর করলেও যে দাবড়ানি দিয়েছি তাতে আর কখনো আসবে বলে তো মনে হয় না। রাতে তো নয়ই।’
‘ঠিক আছে ওস্তাদ... থুড়ি বস। তাহলে এখানে আমাগো চেম্বারে রেখেই ভাগাভাগি করুম নে।’
‘ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত হয়েছিস কেন? রাতটুকু এখানে রাখতে পারলে সকালে দেখা যাবে। তখন তো কত নিয়েছি তাও জানতে পারব।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement