১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

উনত্রিশ.
তবে যদি একটা হুইল চেয়ার দেয় তাহলেও অন্তত নিজে চলাফেরাটা করতে পারতাম।’
টিপুর মন খারাপ হয়ে যায়। রনি মিঠুর সাথে টাকা পয়সায় পাল্লা দিতে পারে না, সে অনেক সময় মনমরা হয়ে থাকত। অথচ তার সুস্থ শরীর, হাত পা সবই ঠিকঠাক আছে। আর এই ছেলেটার বলতে গেলে দুটি পা-ই নেই, অথচ তার পরও কেমনভাবে সবকিছু মানিয়ে নিয়েছে। সামান্য একটা হুইল চেয়ার পেলে বর্তে যায়, তাও নেই। এই প্রতিবন্ধী স্কুলে না এলে, নশুর সাথে এমনভাবে পরিচয় না হলে টিপু কোনো দিনই এসব কিছু জানতো না।
টিপু চলে যাওয়ার সময় বলল, ‘আমি জহুরী মহল্লায় থাকি। আমার বাবার ফোন নাম্বারটা তুমি রাখো। কোনো সময় দরকার পড়লে ফোন দিও। আমি এদিকে চলে আসব।’
নশুও খুশি হয়ে বলল, ‘আমার খালারও একটা ফোন আছে। কম দামী। খালা হাজী সাহেবের বাড়িতে কাম করে। তারাই দিছে। সেই নাম্বারটাও তুমি লিখে নাও। আমার মুখস্থ আছে।’
দুজনে মোবাইল নাম্বার বদলাবদলি করে অল্প সময়ের মধ্যে বন্ধু বনে গেল।

মিকা ডাট ফোনে খয়ের খাঁকে জানাল, ‘বস, ভালো খবর আছে। জিনিসের সন্ধান পেয়ে গেছি। মোবাইলে বলা যাবে না। আঁড়িপাতা লোক আছে।’
খয়ের খাঁ নিজের ডেরায় একটু আয়েশ করছিল। আধশোয়া থেকে উঠে বসল, ‘তুমি আমার ডেরায় চলে এসো।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement