১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাঁশ

-

আজ তোমরা জানবে বাঁশ সম্পর্কে। বাংলাদেশের সব এলাকায়ই বাঁশ দেখা যায়। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
জানো, বাঁশ তৃণজাতীয় এক প্রকার লম্বা গাছ? একে ঘাসজাতীয় গাছও বলা যায়। কারণ তৃণ মানে ঘাস। বাঁশের অপর নাম বংশ বা বেণু।
বাংলাদেশের সব এলাকায়ই বাঁশ দেখা যায়। গ্রামের প্রায় সব বাড়ির পেছনেই বাঁশঝাড় দেখা যায়। বাঁশঝাড় বেশি জায়গাজুড়ে হলে একে বলে বাঁশবাগান। আর বড় বাঁশবাগানকে বলে বাঁশবন। চীনের বাঁশবনে পান্ডা আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে প্রচুর বাঁশ জন্মে। বাঁশ আমাদের অনেক কাজে লাগে।
বাঁশ যে আমাদের অনেক কাজে লাগে সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই তোমাদের ধারণা আছে। তোমরা তো জানোই, এটি দিয়ে গ্রামের মানুষ খুঁটি, কুঁড়েঘর, মাচা বা জাংলা তৈরি করে। বাঁশের তৈরি কুলা, চালুনি বা ছাঁকনা, আলনা, ডোল প্রভৃতিও তোমরা দেখে থাকবে। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রও তৈরি করা যায়। যেমনÑ চেয়ার, টেবিল, তাক, আলমারি ইত্যাদি।
বাঁশের উপকরণ ব্যবহার করে ঘরের বেড়া, দরজা, জানালা, বিভিন্ন ধরনের কাঠামোও তৈরি করা যায়। জ্বালানি হিসেবেও বাঁশের কদর রয়েছে। আজকাল উচ্চ প্রযুক্তির কাজেও বাঁশের ব্যবহার দেখা যায়। একে বলতে পারো প্রযুক্তিতে প্রকৃতির ছোঁয়া।
কম্পিউটারের কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি তৈরি করতে বাঁশের ব্যবহার দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
বাঁশ দিয়ে কাগজ ও মাদুর তৈরি করা পুরনো ব্যাপার। তবে এর কদর বেশ। বাঁশ দিয়ে আরো কত্ত কী তৈরি করা যায়! তোমরাও হয়তো তা জানো। বড় হয়ে তোমাদের কেউ কেউ হয়তো বাঁশ নিয়ে গবেষণা করে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement