২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

পনের.
এর আগে অন্য সবার মতো এই বাড়িটার আশপাশ দিয়ে গেলেও কখনো ভিতরে ঢোকেনি। এখন ভিতরে ঢুকে তিনজনই তাজ্জব বনে গেল। প্রায় প্রাসাদের মতোই ছিল বাড়িটা। হিসেব করলে বোঝা যায়, অনেকখানি জায়গাজুড়েই মূল বাড়িটা ছিল। তারপর সামনে লন ছিল, যেখানে এখন বড় বড় আগাছা আর ঘাস জমে হাঁটার অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া চার ধারেই বাগান বাড়ির মতোই ছিল। কোনো এক পাশের বারান্দায় এসে উঠেছে আন্দাজ করল। সার সার ঘর। মনে হয় এটা বাড়ির নিচতলায় হবে। ঘরগুলোর দরজা জানালার কাঠামো ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। স্থানে স্থানে বিশাল বিশাল ফোকলা হয়ে ছাদ ভেঙে পড়েছে। জানালার পাশ থেকেও ইট খুলে গেছে। সেরকম কয়েকটা স্তূপ বেশ সারি করে উপর নিচ সাজিয়ে রাখা।
দেখে মনে হয় কেউ বসে গল্প করার জন্য ইটগুলোকে ওভাবে সাজিয়েছে। টিপুদের মাথায় যদি লটারির টিকিট নিয়ে এতটা উত্তেজনা না থাকত তাহলে হয়তো ওরা এই ব্যাপারটা খেয়াল করতো। মাঝ রুমের স্তূপ করা ইটের সারি। তার মধ্যে গুনে গুনে তিন সারির তিনটে ইট সরিয়ে রাখল। তারপর স্কুল ব্যাগ থেকে খাতা বের করে সাদা কাগজ ছিঁড়ে নিলো। টিকিট তিনটিকে সাদা কাগজ মুড়ে তার মধ্যে টিকিটটা রাখল। লটারির টিকিটটা এমনভাবে রাখল যেন গুপ্তধন রাখছে। যেন ওখানেই তিরিশ লাখ টাকা লুকিয়ে রাখছে তারা।
টিকিটের উত্তেজনায় কেউ আর আশপাশটা ভালো করে দেখল না। টিপুরা যখন পোড়োবাড়ির মধ্যরুমের ইটের সারিতে লটারির টিকিট লুকিয়ে রাখতে ব্যস্ত, তখন পেছন দিককার একটা ঘরে অপেক্ষা করছে মিকা ডাট। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement