১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

চৌদ্দ.

সেই আমাদের সব খোঁজ দেবে, বুঝেছিস। তোদের বস কোনো কাঁচা কাজ করে না।’
এরকম সময় বস খয়ের খাঁর মোবাইল বেজে উঠল। ও প্রান্ত থেকে একজন জানাল, ‘বস, বেশ গোপন কিছু খবর আছে। পাক্কা খবর। আমাদের চেম্বারে চলে আসেন। আমি থাকছি।’
‘ঠিক আছে, তুই চেম্বারের ভিতরের দিকে থাক। আমরা পেছন পথ দিয়ে ঢুকব। দেখিস, কেউ যেন দেখতে না পায়। আমরা আসছি।’ বস খয়ের খাঁ মোবাইলের লাইন কেটে দিলো।
দু’জনেই উৎসুক চোখে বসের দিকে তাকাল। ‘কোথায় যাবেন বস?’
‘চেম্বারে।’
দু’জনে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল।
‘চেম্বারের কথাও কি তোদের মুখ ফুটে বলতে হবে। পোড়োবাড়িতে আমার নতুন আস্তানা। লটারির টাকাটা না পাওয়া পর্যন্ত ওটাই এখন আমার অঘোষিত আস্তানা। সাংকেতিক নাম চেম্বার। ভুলেও কেউ পোড়োবাড়ির কথা মুখে আনবি না। বুঝেছিস?’
‘জি বস!’ দুই সাগরেদ একসাথে বলল।
‘ঠিক আছে, এখন টেনে হেঁটে চল পোড়োবাড়ির দিকে যাই। একটু সাবধানে যেতে হবে। কেউ যাতে দেখে না ফেলতে পারে।’

মিঠু, রনি আর টিপু বেড়ে ওঠা জংলা ঝোপঝাড় এড়িয়ে পোড়োবাড়ির ভেতরে ঢুকল। বাড়িটাকে দেখে মনে হয় কত বছর যেন বাড়িটি নখ চুল দাড়ি কাটেনি। পলেস্তারা খসে পড়ে কংকাল বেরিয়ে আছে।
ওরা খুব সাবধানেই বাড়ির কংকালের মধ্যেই ঢুকে পড়ল। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement