স্কুল ছুটির পর
- প্রিন্স আশরাফ
- ০৩ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
দশ.
অন্ধ ভালোভাবে টাকাটা বুঝে নিয়ে নিজের পকেটে পুরল। তারপর হাতে ধরে রাখা লটারির টিকেটের মধ্যে থেকে একটা টিকিট বাড়িয়ে দিলো ওদের দিকে।
‘না, না, টিকিট লাগবে না। ও টাকাটা আমরা আপনাকে দান করলাম।’
অন্ধ টিকিট বাড়িয়ে ধরে বলল, ‘আমি দান নেই না। টিকিট বিক্রি করি। কমিশন পাই। কামাই করে খাই।’
টিপু ব্যাখ্যা করল, ‘ও টাকাটা আমরা পথে কুড়িয়ে পেয়েছি। তাই কাউকে দান করতে চাচ্ছি। কোনো ভিখারিকে খুঁজে পাইনি। আপনাকেই আগে পেয়ে গেলাম। তাই আপনাকে দান করে দিচ্ছি।’
অন্ধ গলার রগ ফুলিয়ে বেশ রাগি গলায় বলল, ‘আমি ভিখারি না। ভিক্ষা নেই না। টিকিট বেচার কাম করি।’
মিঠু বলল, ‘ভিক্ষা নয়, আমরা দশ টাকা আপনাকে এমনিতেই দিচ্ছি।
অন্ধ টিকিটটা মিঠুর হাতে গুঁজে দিতে দিতে বলল, ‘তোমরা দশ টাকায় টিকিট নিয়ে যাও। লটারি টিকিট কেনাও এক রকম দান করা। আমাদের মতো অন্ধদের কাজে লাগবে। দান করা হবে।’
একজন মহিলা টিকিট কিনতে এসেছে। ওদের কাণ্ডকারখানা দেখে হেসে বলল, ‘আরে বাপু, যে টিকিট দিচ্ছে সেটাই নিয়ে নাও না। অত বাছাবাছির কী আছে? ভাগ্যে থাকলে ওটাতেই তিরিশ লাখ বেঁধে যেতে পারে। না থাকলে বাছাবাছি করে হাজার গণ্ডা কাটো, বাঁধবে না। আমি এখানে-ওখানে কত কাটি একটাও বাঁধে না। এই তুমি পছন্দ করে আমাকে একটা টিকিট দাও তো। আজ তোমার পছন্দমতো কিনি।’ শেষ কথাটা অন্ধ টিকিট বিক্রেতার উদ্দেশে বলল।
ওরা আর দাঁড়াল না। টিকিট নিয়েই সরে এলো।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা