২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আ ফ্রি কার রূ প ক থা

রাজার জাদুর ড্রাম

-

পাঁচ.
প্রতিবারের মতো এবারো কচ্ছপ ড্রাম বাজাল। খাবারও আসতে লাগল প্রচুর পরিমাণে। লোকজন খেতে বসল। সবাই তৃপ্তি সহকারে খেতে লাগল। তারা অবাক হলো। একটি গরিব কচ্ছপ কত চমৎকারভাবে সবাইকে আনন্দ দিতে সক্ষম হয়েছে। বাড়িতে ফিরে তারা অন্য বন্ধুদেরকে বলল, কত সুস্বাদু ও চমৎকার খাবার তাদের দেয়া হয়েছে। এরকম মজাদার খাবার তারা কখনোই খায়নি। যারা দাওয়াতে যায়নি তারা এ খবর শুনে খুবই আফসোস করতে লাগল।
এই উৎসবের পরে কচ্ছপকে সবাই রাজ্যের অন্যতম ধনী ভাবতে লাগল। সে এখন অনেক সম্মানের অধিকারী। রাজাই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এর প্রকৃত রহস্য জানেন, সে কিভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে মানুষকে আনন্দ দিতে পেরেছে। তারা সবাই ঠিক করল, কচ্ছপ যদি তাদের আবারো দাওয়াত দেয়, তারা তা প্রত্যাখ্যান করবে না। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কচ্ছপ খুব অলস হয়ে গেল। সে কোনো কাজ করতোই না। কারণ সে এক আশ্চর্য ড্রামের অধিকারী। দেশবাসীর কাছে সে তার সম্পদ ও পানীয়-এর প্রাচুর্যতার মালিক হওয়া নিয়ে বড়াই করত।
একদিন সে তালের রস ড্রামে করে বাড়ি ফিরছিল। পরিমাণেও ছিল অনেক। কিন্তু সে নিজেও অনেকটা পান করায় মাথার ভিতর কেমন চক্কর মারছিল। তাই পথে একটি লাঠি খেয়াল করল না। সে লাঠির উপর দিয়ে হাঁটল। শর্ত ভেঙে গেল। সে জানতই না, এই মুহূর্তে কিছু ঘটতে পারে। খুব ক্লান্ত দেহ নিয়ে বাড়িতে পৌঁছল। তখনও তার নেশার ঘোর কাটেনি।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement