২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
আ ফ্রি কার রূ প ক থা

রাজার জাদুর ড্রাম

-

দুই.
কয়েক মাস পরপর রাজা তার সব প্রজাদের একটি ভোজসভায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। এমনকি বন্যপ্রাণীকেও আমন্ত্রণ জানানো হতো। হাতি, জলহস্তী, চিতাবাঘ, বন্য গাভী ও হরিণরাও আসত এ সভায়।
সেই সময় মানুষের মাঝে আসতে বুনো প্রাণীদের কোনো অসুবিধা হতো না। কারণ মানুষের সাথে তাদের ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তারা যখন উৎসবে থাকত তখন তারা একে অপরকে হত্যা করত না। সমস্ত লোক এবং পশুরা রাজার ড্রাম নিয়ে ঈর্ষা করত। ড্রাম বাজাতে চাইত কিন্তু রাজা এটা কাউকে বাজাতে দিতেন না। রাজার স্ত্রী ইকওয়ার এদেম। একদিন সকালে তার ছোট মেয়েকে গোসল করানোর জন্য ঝরনায় নামিয়ে ছিলেন, যাতে শরীরের ময়লা দূর হয়। কারণ তার চুলকানি ছিল, সারা শরীরে ঘা ছিল।
একটি কচ্ছপ ঝরনার উপরে পাম গাছে বসা ছিল। সে তার দুপুরের খাবারের জন্য বাদাম কাটছিল। ওখান থেকে একটি বাদাম মাটির উপরে শিশুটির সামনে পড়ল। ছোট্ট মেয়েটি খাবার দেখে অস্থির হয়ে উঠল। মাকে পীড়াপীড়ি করতে লাগল। তার মা কোনো কিছু না ভেবে বাদামটি তুলে মেয়েকে দিলেন। কচ্ছপটি এটি দেখে গাছের উপরে উঠে গেল। কচ্ছপ মহিলাকে জিজ্ঞেস করল, তার বাদামটি কোথায়? তিনি বললেন, এটি তিনি তার বাচ্চাকে খেতে দিয়েছেন। এই কচ্ছপটিই বাদশার ড্রাম চেয়েছিল। সে ভাবল, এই বিষয়টি বাদশাকে বুঝিয়ে তাকে ড্রাম দিতে বাধ্য করবে সে। তাই সে বাচ্চাটির মাকে বলল, ‘আমি একজন দরিদ্র মানুষ। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement