১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

‘বাদামি চামড়া, বিদেশী লোক।
খুব তাড়াহুড়া করেছে।’
উনচল্লিশ.

মহিলাকে ধন্যবাদ দিয়ে সুজা আর নেডের কাছে ফিরে এলো রেজা। দু’জনকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে মহিলার কাছ থেকে যা জেনেছে, জানাল। নেডের ভটভটি জেলপি গাড়িটা বাইরে রাখা আছে, সেটায় করে থানায় চলল তিনজনে।
যে পুলিশম্যানের সহযোগিতায় বাজপাখিটা নামিয়ে এনেছে চোর, তার হদিস পেতে কষ্ট হলো না। ডিউটি শেষ করে বাড়ি চলে গেছে পুলিশম্যান। তাকে ফোন করল রেজা। পুলিশম্যান জানাল, ‘লোকটা এসে তোমাদের কথা বলে বাজপাখিটা নিয়ে যেতে চাইল, তোমরা নাকি তাকে নিয়ে যেতে বলেছ। পাখিটা কোথায় আছে তা-ও জানে দেখলাম। তাই সন্দেহ করিনি।’
‘নাম জিজ্ঞেস করেছেন?’
‘করেছি। বলেনি। বলল, নাম জানা লাগবে না। ভাবলাম, তোমরা যখন পাঠিয়েছ, নাম দিয়ে আর কী করব। গেলাম তার সঙ্গে।’
‘দেখতে কেমন?’
‘বাদামি চামড়া, বিদেশী লোক। খুব তাড়াহুড়া করেছে।’
অবাক হয়ে গেল রেজা-সুজা। বাদামি চামড়ার লোক। বিদেশী। বাদামি-সাদা ট্যাক্সিতে করে এসেছিল। ওরা যখন কফি শপে নাস্তা করছে তখন এসে নিয়ে গেছে পাখিটা। একজনের দিকেই নির্দেশ করে। নটবর বাগচি! বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না ওদের। সত্যিই বাগচি এসে পাখিটা নিয়ে গেছেন? নিউ ইয়র্ক থেকে ফোনে কি তাকে এ কাজটা করতেই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল? ওদের মনে আছে, খুব অস্থির আর উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল তাকে।
পাখিটা যে নিয়ে গেছে, পুলিশম্যানের কাছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইল রেজা, এ সময় কেটে গেল লাইন। আবার ফোন করতে যাচ্ছে, সুজা বলল, ‘তার চেয়ে চল ট্যাক্সি ড্রাইভারকে খুঁজে বের করে তার কাছে জিজ্ঞেস করি। পুলিশম্যানের চেয়ে ভালো বলতে পারবে। লোকটাকে কোথায় নামিয়ে দিয়েছে, সেটাও জানাতে পারবে।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement