২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটত্রিশ.

হাঁপাতে হাঁপাতে এতক্ষণে এসে হাজির হলো নেড। বিশাল বপু নিয়ে রেজা-সুজার মতো তড়িৎ-গতিতে ছুটে আসতে পারেনি। ‘তোদের আমি মিস পেরিজের কথা জিজ্ঞেস করলাম, আর তোরা দিলি ছুট। ভূতে তাড়া করেছিল নাকি?’ সব শোনার পর নেড বলল, ‘আমার কী মনে হয় জানিস, বাড়িতে বোমাটা মারাই হয়েছে মিস পেরিজকে চুরি করার সুযোগের জন্য।’
‘এটা একটা কারণ হতে পারে,’ রেজা বলল। ‘তবে আরও জরুরি কোনো ব্যাপার আছে।’
নিচতলায় ফিরে চলল তিনজনে। কার্নি ডায়াসকে দেখা গেল পাহারারত পুলিশদের সঙ্গে। বাজপাখিটার কথা কেউই কিছু বলতে পারল না। ৭টায় সেকেন্ড শিফটের ডিউটিতে এসেছে ওরা। তখন থেকে একবারের জন্য বাড়ির ভিতরে ঢোকেনি, পাখিটাকে বের করে নিয়ে যেতে দেখেনি কাউকে।
‘দর্শকদের গিয়ে জিজ্ঞেস করে দেখি কাউকে পাখি নিয়ে যেতে দেখেছে কিনা,’ সুজা বলল।
তিনজন তিন দিকে কথা বলতে গেল ওরা। পড়শি এক মহিলা জানাল, ‘তোমাদের পাখিটাকে দেখেছি আমি। সকালে আমার কুকুরটাকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। সাড়ে ছ’টার দিকে ট্যাক্সিতে করে একজন লোক এলো। সামনের দরজায় দাঁড়ানো একজন পুলিশম্যানের সাথে কথা বলল। দুজনে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে চলে গেল। কয়েক মিনিট পর পুলিশম্যানের সাথেই লোকটা নেমে এলো বাজপাখিটাকে নিয়ে। ট্যাক্সিতে করে চলে গেল।’
‘কোন পুলিশম্যান, দেখাতে পারবেন?’ রেজা জিজ্ঞেস করল।
‘এখন যারা আছে তাদের মধ্যে তো দেখতে পাচ্ছি না,’ মহিলা বলল। ‘মনে হয় ডিউটি শেষ করে চলে গেছে।’
‘ট্যাক্সিটার রঙ কী ছিল?’
‘ট্যাক্সিটা বাদামি-সাদা। ইয়েলো বিচ ট্যাক্সি কোম্পানির গাড়ি বলেই তো মনে হলো।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement