২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওয়াশু কাহিনী

-

আজ তোমরা জানবে ওয়াশু সম্পর্কে। এ উপজাতির জীবনধারাতে এসেছে ইউরোপীয় বা মার্কিন ঘরানার বিশেষ প্রভাব। লিখেছেন এম জেড হক বাবলু
ওয়াশু একটি উপজাতির নাম। এরা গ্রেট বেসিন উপজাতি। জনসংখ্যা প্রায় ১৫০০। এরা একটি দেশজ আমেরিকান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাদায় এদের বসবাস।
ওয়াশুরা কথা বলে ইংরেজি ও ওয়াশু ভাষায়। বর্তমানে ওয়াশু একটি বিপন্ন ভাষা। এ ভাষায় কথা বলে মাত্র ২০ জন। জীবনের প্রয়োজনে এরা ইংরেজির দিকে ঝুঁকে পড়েছে; ভুলে যাচ্ছে মাতৃভাষা। ওয়াশু ভাষা হোকান ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তবে অনেকে একে বিচ্ছিন্ন ভাষা হিসেবে বিবেচনা করেন। তার মানে, অন্য কোনো ভাষার সাথেই এর মিল নেই।
হস্তশিল্পে ওয়াশুদের বেশ সুনাম আছে। ঝুড়ি তৈরিতে এরা পটু।
ওয়াশুরা প্রাচীন জাতি। ধারণা করা হয়, প্রায় ছয় হাজার বছর আগেও এদের অস্তিত্ব ছিল। ঐতিহ্যগতভাবে এরা ছিল জেলে, ছোট স্তন্যপায়ী শিকারি এবং পিনিয়ন পাইন বাদাম ও ওক ফল সংগ্রহকারী। অন্যান্য ফলমূল ও সবজিও সংগ্রহ করত। এরা হরিণের গোশত খেত এবং এর চামড়া দিয়ে পোশাক তৈরি করত। কোণাকৃতির ঘর তৈরি করার জন্যও এরা এ চামড়া কাজে লাগাত। ঝুড়ি শিল্পে এরা ছিল দক্ষ।
এদের সব ঐতিহ্য এখনো হারিয়ে যায়নি। এখনো এরা পাইন বাদাম ও ওক ফল খায় এবং এগুলো এদের প্রধান আর্থিক অবলম্বন। হরিণ ও খরগোশ শিকার করতে এরা পছন্দ করে। ওয়াশু সমাজে খরগোশের চামড়ার খুব কদর। কারণ এটি দিয়ে কম্বল বানানো হয়। ওয়াশুরা ঐতিহ্যগত উপজাতি ধর্ম পালন করে। উনিশ শতকের প্রথম দিকে স্পেনীয়দের সাথে ওয়াশুদের যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ১৮৪৮ সালের আগে ইউরোপীয় সংস্কৃতি এদের তেমন প্রভাবিত করেনি। স্পেনীয়দের পরে ইংরেজিভাষীদের সাথে এদের যোগাযোগ হয় এবং এরা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। বর্তমানে এদের বেশির ভাগ ইংরেজি ভাষা গ্রহণ করেছে বা করতে বাধ্য হয়েছে এবং এদের জীবনধারাতেও এসেছে ইউরোপীয় তথা মার্কিন ঘরানার বিশেষ প্রভাব।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement