১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান পর্ব ১২

-

পঁয়ত্রিশ.
একে একে চলে গেল পড়শিরা। বাগচি বললেন, ‘সব আমার দোষ। আমার কারণেই এই বিপদে পড়তে হলো আপনাদের। সতর্ক থাকা সত্ত্বেও কাল সন্ধ্যায় আমাকে এ বাড়িতে আসতে দেখে ফেলেছিল শত্র“রা। আমাকে বোমা মারার জন্যই বাড়িতে ঢুকেছিল। আর কোনো বিপদে ফেলতে চাই না আপনাদের। আমার কেস আমি তুলে নিলাম।’
ভাতিজাদের দিকে তাকাল নাসের। আবার বাগচির দিকে ফিরল। ‘মিস্টার বাগচি, আপনি এখন কেস তুলে নিলেও আমরা সরে দাঁড়াব না। কারণ আমাদেরও অনেক ক্ষতি করেছে আপনার শত্র“রা। তা ছাড়া সমাধানের এত কাছাকাছি এসে ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
‘আর আপনাকে মারার জন্য বোমাটা ছুড়েছিল, তা-ও ঠিক না মিস্টার বাগচি,’ সুজা বলল। ‘বোমাটা আসলে আমাদের মারতে চেয়েছিল। আমাকে আর রেজাকে জানালায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিল।’
খালি বাড়িতে চোর-ডাকাতের উৎপাত হতে পারে, তাই বাড়িতেই থাকতে চাইল রেজা-সুজা। বাকি সবাইকে হোটেলে থাকতে বলল।
হাসল নাসের। ‘তোদের অন্য কাজ আছে। কেসটা শেষ হয়নি এখনো। বাড়ি পাহারা দেয়ার লোকের অভাব হবে না। কার্নি ডায়াসকে বললেই থাকবে।’
বাইরে বেরোনোর উপযোগী পোশাক পরে নিলো সবাই। অন্য জায়গায় থাকতে হবে, তাই যার যার সুটকেসে আরও কিছু কাপড়-চোপড় গুছিয়ে ভরে নিলো।
দলবল নিয়ে চিফ ডানকান এসে হাজির হলেন এ সময়। বাড়িতে ছিলেন। টহল পুলিশ ফোন করে খবর জানিয়েছে তাঁকে। সার্চলাইট ঠিক করানোর নির্দেশ দিলেন নিজের সহকারীদের। সেই সাথে বাড়ি পাহারার ব্যবস্থা করতে বললেন।
পুলিশের গোয়েন্দারা অনেক খোঁজাখুঁজি করল। শক্ত মাটিতে পায়ের ছাপ পাওয়া গেল না। বোমাটা যে ছুড়েছে তার ফেলে যাওয়া কোনো চিহ্ন কিংবা সূত্র পেল না। লিভিং-রুমে বোমার অবশিষ্ট টুকরো-টাকরা পাওয়া গেল। সাবধানে সেগুলো তুলে নেয়া হলো পুলিশের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার জন্য। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement

সকল