দুই গোয়েন্দার অভিযান পর্ব ১২
- রকিব হাসান
- ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
একত্রিশ.
ভিকুরামের অ্যারেস্ট হওয়ার খবর শুনে শিওর গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করবে ক্যাপ্টেন ডোনার।’
‘যাক, এক রাতের জন্য অনেক হয়েছে,’ হাজত থেকে বেরিয়ে এসে চিফ বললেন।
বাড়ি ফিরে চলল রেজারা। গাড়িতে চুপচাপ রইলেন বাগচি, তবে ড্রাইভওয়েতে গাড়ি ঢুকলে বললেন, ‘এখন কিভাবে কাজ করবে তোমরা? ভিকুরামের অ্যারেস্ট হওয়ার খবর শুনে শিওর গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করবে ক্যাপ্টেন ডোনার।’
‘ওই ঝুঁকি তো নিতেই হবে।’ আঙুল মটকাল সুজা। ‘রেজা, এক কাজ করলে কেমন হয়? চল, ছদ্মবেশ নিয়ে একদিনের জন্য পপলারের একটা মাছধরা পার্টিতে যোগ দিই।’
‘খোঁজখবর নেয়ার জন্য?’
‘হ্যাঁ।’
‘মন্দ হয় না। আমার আপত্তি নেই।’
রাতে বাজপাখিটাকে গ্যারেজে রাখার সাহস হলো না সুজার। বাগচির সন্দেহটা অমূলক বলে উড়িয়ে দেয়া ঠিক হবে না। হয়তো পাখিটাকে পাওয়ার জন্য আগের চেয়ে মরিয়া হয়ে উঠবে এখন কিডন্যাপাররা।
রেজা-সুজার সঙ্গে রান্নাঘর দিয়ে বাড়িতে ঢুকলেন বাগচি। লিভিং রুমে চলে এলেন। মিনা ফুপু আর মিসেস জনসন সেখানে বসে আছে। টিভি দেখছে।
পাখিটা নিজেদের শোবার ঘরে রেখে আসতে গেল সুজা। বাগচির সঙ্গে মিনা ফুপুর পরিচয় করিয়ে দিলো রেজা। ফুপু বললেন, ‘মিস্টার বাগচি, এত রাতে আর ওয়াশিংটনে রওনা দেয়া ঠিক হবে না আপনার। এখানেই থেকে যান।’
খুশিমনে রাজি হয়ে গেলেন বাগচি। মিনা ফুপুকে অনেক করে ধন্যবাদ দিতে লাগলেন।
এগারোটা নাগাদ আর জেগে থাকতে পারল না রেজা-সুজা ও তাদের মেহমান। ঘন ঘন হাই তুলতে লাগল। যদিও অতি চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিল ওরা। ভারতের বিভিন্ন এলাকার সামাজিকতা, সমাজব্যবস্থা ও উৎসবের আলোচনা। আর বসে না থেকে ঘুমোতে যেতে বললেন ওদেরকে মিনা ফুপু। ‘আমি নাসেরের জন্য অপেক্ষা করি। ও বলেছে, আজ রাতেই চলে আসবে। তবে রাত হবে।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা