২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আট.
‘উঁহু। কাল সারা দিন এক মুহূর্তের জন্য বন্দর থেকে নড়িনি আমি। সারা দিন বোটটাকে এখানেই নোঙর করে থাকতে দেখেছি।’
‘ক্যাপ্টেনও কি সারা দিন জাহাজেই ছিলেন?’ সুজা জানতে চাইল।
‘সন্ধ্যার পর ছিলেন না।’
লোকটাকে ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াহুড়া করে পপলার যেখানে নোঙর করে আছে সেখানে চলে এলো দুই গোয়েন্দা। জাহাজের ডেক হাউজে দেখতে পেল ক্যাপ্টেনকে। পিছনের ডেকে বসে আছে ভিকুরাম।
জাহাজে উঠার সিঁড়ির কাছে এসে দাঁড়িয়ে গেল দুই গোয়েন্দা। চিৎকার করে জাহাজীদের ভাষায় ডাকল, ‘আহয়, পপলার! আমরা ডেকে উঠতে চাই!’
জানালা দিয়ে গলা বাড়িয়ে দিলো ক্যাপ্টেন। রুক্ষকণ্ঠে বললেন, ‘জরুরি কাজ থাকলে এসো। তবে তাড়াতাড়ি কথা বলে কেটে পড়তে হবে।’
ডেক-এ উঠে এল ছেলেরা। তীক্ষè দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে ভিকুরাম। মুহূর্তের জন্য চোখ সরাল না। ওরাও তাকাল। কিন্তু যেভাবে তাকিয়ে ছিল, সেভাবেই তাকিয়ে রইল লোকটা।
এগিয়ে এলো ক্যাপ্টেন ডোনার। রেজা বলল, ‘আমাদের দু’জন বন্ধুকে খুঁজতে এসেছি। কাল ওরা আপনার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল।’
‘কাল আমরা মাছ ধরতে যাইনি,’ জবাব দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করল না ক্যাপ্টেন।
‘তাহলে আপনিই বোধ হয় সেই ক্যাপ্টেন, বুড়ো মিস্টার গানারের বনে গিয়েছিলেন,’ সুজা বলল।
ভ্রƒকুটি করল ডোনার। ‘কোনো বনেই যাইনি আমি। কথা শেষ হয়েছে? জাহাজ থেকে নামো এখন।’
দাঁড়িয়ে রইল রেজা-সুজা। ‘তাহলে কি আপনার ওই লোকটা গিয়েছিল? ওই যে বসে আছে, ভিকুরাম?’
লাফ দিয়ে উঠে এসে ওদের পিছনে দাঁড়াল ভিকুরাম। গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ‘কাল আমি ক্যাপ্টেনের সাথেই ছিলাম। ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত।’
‘তোমাদের জবাব তো পেলে,’ গর্জে উঠল ক্যাপ্টেন। ‘জাহাজ থেকে নামো, যাও!’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement