বাহলা কেল্লার ইতিকথা
- ২১ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
আজ তোমরা জানবে বাহলা কেল্লা সম্পর্কে। কেল্লাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকাভুক্ত। লিখেছেন এম জেড হক বাবলু
তোমরা হয়তো আরব দেশ ওমানের নাম শুনে থাকবে। ওই দেশের বিখ্যাত এক এলাকা আদ দাখিলিয়াহ। এ এলাকার জাবাল আখদার পাহাড়ের পাদদেশে বাহলা শহরে একটি প্রাচীন কেল্লা আছে। এর নাম বাহলা কেল্লা (দুর্গ)। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকাভুক্ত।
ধারণা করা হয়, কেল্লাটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৭ শতকের আগে। মতান্তরে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৩ ও ১৪ শতকে। এ সময় বানু নেবহান উপজাতির নিয়ন্ত্রণে বাহলা মরূদ্যান সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
১৯৮৭ সালের আগে বাহলা দুর্গ ইতিহাসের পাতা থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। এর আগে এটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করা হয়নি। এ বছরই কেল্লাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকায় স্থান পায়। ১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটি বিপন্ন তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
কেল্লাটির ভিত্তি নির্মাণ করা হয়েছে বেলেপাথর ব্যবহার করে। এর ধ্বংসপ্রাপ্ত দেয়াল ও বুরুজগুলো কাঁচা ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এ ইট রোদে পোড়ানো হয়েছিল। বুরুজের উচ্চতা প্রায় ১৬৫ ফুট।
দুর্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে একটি জুমা মসজিদ। এর মিহরাবে খোদাই করা নকশা রয়েছে। মিহরাবটি ১৪ শতকের।
১৯৯০-এর দশকে বাহলা কেল্লাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ওমান সরকার এ জন্য প্রায় ৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে। এ সময় কেল্লাটি ভারা ঢাকা থাকে এবং পর্যটকদের জন্য এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০০৪ সালে দুর্গটি বিপন্ন তালিকায় আর থাকে না।
কথিত আছে, খলিফা হারুন আল-রশিদের স্বাভাবিকীকরণের বিরুদ্ধে বাহলা কেল্লা এবং এর কাছের ইজকি ও নিজওয়া দুর্গ খারিজিদের প্রতিরোধ কেন্দ্র ছিল। বাহলা শহর বা কেল্লাটি মরূদ্যান, সুক (পুরনো বাজারবিশেষ) ও খেজুরবাগান ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা ইটের তৈরি দেয়ালে ঘেরা। শহরটি মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা