২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তেতাল্লিশ.

শুনে ভালো লাগল না দুই গোয়েন্দার। পরস্পরের দিকে তাকাল। এ ধরনের অপপ্রচার লেভিনের ব্যবসার ক্ষতি করবে। এই লজে ডাকাত থাকত, এখন ভূত আছেÑ এসব খবর শুনলে অনেকেই আসতে চাইবে না।
‘শুধু এই একটা গল্পের জন্য এত টাকা খরচ করে তোমাকে এখানে পাঠানো হয়েছে, একজন ফটোগ্রাফারসহ? হেনরি তো ফটোগ্রাফার, তাই না?’
‘হ্যাঁ। পুরনো এই ডাকাতির ব্যাপারটা নিয়ে সে-ও আমার মতোই আগ্রহী,’ টম বলল। ‘অনেক তথ্য জোগাড় করেছি আমি। যত বেশি সম্ভব নিউজপেপার ক্লিপিং নিয়ে একটা ফাইল তৈরি করেছি।’
‘তাই নাকি? দেখতে পারলে খুশি হতাম,’ মনে মনে ফাটতে থাকলেও অতি আগ্রহ প্রকাশ পেতে দিলো না রেজা। ‘আসলে, সত্যিকারের একজন পেশাদার কিভাবে কাজ করে, দেখার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের।’
রেজার কথা শুনে হাসি এসে যাচ্ছিল সুজার, ঠেকানোর জন্য ঠোঁট কামড়ে ধরল।
‘সরি, দেখাতে পারব না। খুব গোপন তথ্য, পত্রিকায় প্রকাশের আগে কাউকে দেখানো উচিত হবে না,’ হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলো টম। ‘বলা তো যায় না, হয়তো আমার গল্প আমার আগেই অন্য কোনো পত্রিকায় বেচে দিলে।’
নিজের কেবিনে ঢুকে দড়াম করে দরজা লাগিয়ে দিলো ও।
‘কি বুঝলে?’ ভ্রƒকুটি করল সুজা।
চিন্তিত ভঙ্গিতে ঘুরে দাঁড়াল রেজা। বিড়বিড় করল, ‘ওর ফাইলটা দেখতে পারলে ভালো হতো।’ নিজেদের কেবিনের দিকে পা বাড়াল ও।

পরদিন সকালে নাস্তা করতে এসে দুই গোয়েন্দা দেখল, অন্যান্য গেস্ট সবাই হাজির, শুধু মিচেলরা দু’জন আর লেভিন বাদে।
কফির জন্য রান্নাঘরে ঢুকল সুজা। মিসেস লেভিনকে জিজ্ঞেস করল, ‘জর্জ আঙ্কেল কোথায়?’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement