দুই গোয়েন্দার অভিযান-১১ পর্ব
- রকিব হাসান
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:১২
সাতাশ.
দরজা খোলা রিফ্রিজারেটরের দিকে পায়ে পায়ে এগোল ও। রেজা বলল, ‘ইরা, একটা চেয়ার আনো তো। আন্টিকে বসাতে হবে।’
চেয়ার এনে চাচীকে বসাতে রেজাকে সাহায্য করল ইরা। তারপর বলল, ‘চাচাকে ডেকে আনি।’
মুহূর্ত পরেই হন্তদন্ত হয়ে রান্নাঘরে ঢুকলেন লেভিন। স্ত্রীর কাঁধে হাত রেখে তাঁকে স্বাভাবিক করতে চাইলেন। অবশেষে যেন ঘোরের ভিতর থেকে বেরিয়ে এলেন মিসেস মিচেল। ‘ফ্রিজের ভিতর,’ আতঙ্কে চোখ বড় বড় হয়ে গেছে তাঁর, ‘একটা লাশ...’
‘ও কিছু না, আন্টি,’ রেজা বলল। লেভিন আসার পর মিসেস মিচেলকে ওঁর হাতে ছেড়ে দিয়ে গিয়ে রিফ্রিজারেটরের ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখে এসেছে। ‘ওটা মানুষের ধড় নয়।’
‘ডামি,’ রিফ্রিজারেটরের ভিতরে থেকে দরজা দিয়ে মাথা বের করল সুজা। ‘একটা বড় সাইজের পুতুল।’
‘পুতুল?’ চেয়ারে সোজা হয়ে বসলেন মিসেস মিচেল।
‘হ্যাঁ।’ রিফ্রিজারেটর থেকে বেরিয়ে এলো সুজা। দুই হাতে ধরা কোলবালিশের মতো নেতানো একটা জিনিস। ‘এই যে দেখুন, পুরনো কাপড়ে তুলো, ন্যাকড়া এসব ভরে বানিয়েছে...’
‘পুতুলের কাপড়টাও চেনা মনে হচ্ছে?’ লেভিন বললেন।
‘হ্যাঁ।’ মিসেস মিচেল বললেন। ‘সাত নম্বর কেবিনের চিলেকোঠায় পুরনো বাক্সে এসব বাতিল জিনিস রেখে দিয়েছিলাম।’
‘ও, বাক্স থেকে এগুলোই তাহলে চুরি করেছে চোরটা,’ ফিসফিস করে ভাইকে বলল সুজা। ‘পুতুল বানিয়ে ভয় দেখানোর জন্য। লোকটা পাগল, না কোনো কুমতলব আছে?’
‘কুমতলব,’ রেজা বলল। ‘এই যে, ভয় দেখিয়ে স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’
‘কেউ একজনের রসিকতা করার শখ হয়েছে, প্র্যাকটিক্ল জোক যাকে বলে।’ মিসেল মিচেলের দিকে তাকাল সুজা। ‘আন্টি, পুতুলটা কখন রিফ্রিজারেটরে রেখেছে বলে মনে হয় আপনার?’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা