২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ছাব্বিশ.
‘ওই সামান্য একটুখানি পনিরের টুকরোয় কিছুই হবে না ওদের,’ মিসেস মিচেল বললেন। ‘একাই খেয়ে ফেলতে পারেন লিণ্ডা মিচেল।’ কিছু বাসন-কোসন, ন্যাপকিন, আর চামচ তুলে নিলেন তিনি। ইরা সাহায্য করল তাঁকে।
‘দেখি, আমার হাতেও দিন কিছু,’ বাসন নিতে হাত বাড়াল রেজা।
‘এগুলো নেয়া লাগবে না,’ মিসেস মিচেল বললেন। ‘পারলে সল্ট আর পেপার শেকারগুলো নাও। আর রুটির ঝুড়িটা।’
‘কেচাপের বোতল আর ঝাল সসও নাও,’ বলে চাচির পিছন পিছন দ্রুত বেরিয়ে গেল ইরা।
চারজনে মিলে ডাইনিং রুমের টেবিল সাজাতে লাগল। ক্ষুধার্থ গেস্টরা অপেক্ষা করছে। খাবার সাজাতে বেশিক্ষণ লাগল না।
‘এখন জগে দুধ ভরতে হবে।’ সবাইকে নিয়ে আবার রান্নাঘরে ফিরে এলেন মিসেস মিচেল।
একটা ট্রেতে জগ রাখতে ইরাকে সাহায্য করল সুজা। রেজা মিসেস মিচেলের পিছন পিছন স্টোররুমে চলল। যাওয়ার সময় একটা গরম বিস্কুট তুলে নিলো। মুখে পুরতে যাবে, এই সময় কানে এলো তীক্ষè চিৎকার।
দৌড় দিলো রেজা। স্টোররুমে ঢুকে দেখে চোখ উল্টে দিয়ে পড়ে যাচ্ছেন মিসেস মিচেল। লাফ দিয়ে এসে তাকে ধরে ফেলল ও। ওর দুই বাহুর মধ্যে নেতিয়ে পড়লেন তিনি।
সুজাও দৌড়ে এলো। ওর দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে রেজা বলল, ‘জলদি দেখো ফ্রিজের ভিতর কি আছে!’
ওদের পাশ ঘুরে রিফ্রিজারেটরের সামনে এসে দাঁড়াল সুজা। উঁকি দিয়ে ভিতরে তাকিয়েই স্থির হয়ে গেল।
মস্ত ওঅক-ইন রিফ্রিজারেটরের ভিতর মাংস ঝোলানোর হুকে আটকে ঝুলছে একটা মুণ্ডুহীন মানুষের দেহ।

তবে জিনিসটা আসলে কি, বুঝতে সময় লাগল না ওর। গম্ভীর ভঙ্গিতে মাথা নাড়তে লাগল। বিড়বিড় করল, ‘এ কার শয়তানি!’
ইতোমধ্যে মিসেস মিচেলকে সরিয়ে নিয়েছে রেজা। বসানোর জন্য একটা চেয়ার খুঁজছে, এ সময় ঘরে ঢুকল ইরা, ‘চিনি নিতে এলোম... আরে, কি হয়েছে?’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement