২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

পঁচিশ.
‘ইয়ো-হো!’ বলে হঠাৎ চিৎকার শোনা গেল।
দরজার দিকে ফিরে তাকাল সবাই।
দুজন নারী-পুরুষ আধখোলা দরজায় দাঁড়িয়ে উঁকি দিচ্ছেন রান্নাঘরের ভিতরে। দুজনেরই বয়েস চল্লিশের কোঠায়। দুজনেই বেঁটে, কুমড়োর মতো শরীর আর ধূসর-চুলওয়ালা এবং দুজনের মুখই উজ্জ্বল হাসিতে উদ্ভাসিত।
‘ভাবলাম, কিছু ক্র্যাকার আর পনির পেলে ওগুলো খেয়েই ডিনার পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারতাম,’ মহিলাটি বললেন।
‘ওহ্, নিশ্চয়, মিসেস মিচেল,’ মিসেস মিচেল বললেন। ‘এখনি আসছি।’ স্টোররুমে চলে গেলেন তিনি। ফিরে এলেন বড় এক টুকরো সোনালি-হলুদ সিডারের পনির ও এক বাক্স ক্র্যাকার বিস্কুট নিয়ে।
‘আহ্, দেখতে তো দারুণ লাগছে,’ চেঁচিয়ে উঠলেন মিসেস মিচেল। পাশের পুরুষটির দিকে তাকালেন। ‘তাই না, মার্ক?’ ফিকফিক করে হাসলেন তিনি। ‘তবে লোভ সামলাতে হবে, এসব জিনিস খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। এমনিতেই কোমরের যা দশা আমাদের, আর মোটা হলে নড়তেই পারব না। ক্যাথি খুব ভালো রাঁধেন, তাই না, মার্ক?’
জবাব দিতে মুখ খুললেন মার্ক। কিন্তু তিনি কিছু বলার আগেই মিসেস লেভিনের দিকে হাত বাড়ালেন তাঁর স্ত্রী, ‘দিন, এগুলো আমার হাতে দিন। মার্ক, চলো, লিভিং রুমে নিয়ে যাই। ওখানে বসে এমনিতেই ক্যাথির কাজের অন্ত নেই।’ পনির, ক্র্যাকারের বাক্স আর রান্নাঘরের তাক থেকে একটা ছুরি তুলে নিয়ে স্বামীকেসহ চলে গেলেন তিনি।
‘এঁরা হলেন মিচেল দম্পতি,’ লেভিন বললেন।
‘হুঁ।’ জোরে নিঃশ্বাস ফেলে সুজা জিজ্ঞেস করল, ‘মিস্টার মিচেল কি কখনো স্ত্রীর কথার ফাঁকে একআধটা শব্দ বের করতে পারেন?’
মুখ টিপে হাসলেন লেভিন। ‘মাঝে-সাঝে।’ ঘড়ির দিকে তাকালেন তিনি। ‘আমার অফিসে যাচ্ছি। অ্যানসারিং মেশিনটা দেখতে হবে, নতুন কোনো গেস্ট আবার রিজার্ভেশন চাইছে কি না দেখা দরকার। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আসছি।’ বেরিয়ে গেলেন তিনি। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement

সকল