২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্যাকটোলার আকর্ষণ

-

প্যাকটোলা হ্রদ ব্ল্যাক হিলস জাতীয় বনের একটি বিনোদন এলাকা। আজ তোমরা ঘরে বসে ওই এলাকায় মানসভ্রমণ করবে, মনের চোখে সেখানে যাবে। লিখেছেন এম জেড হক বাবলু
মায়াবী প্রকৃতির অবারিত হাতছানিতে কে না মুগ্ধ হয়! জানো, এর মোহিনী রূপ দুর্বার? বিনোদন কেন্দ্রের আকর্ষণও কিন্তু কম নয়। সৌন্দর্য উপভোগ আর বিনোদনের কুহকী পরশ পেতে মানুষ ছুটে চলে দেশ-দেশান্তরে। অবশ্য সবাই দেশভ্রমণ করতে পারে না। কিন্তু ঘরে বসে মানসভ্রমণÑ মনের চোখে বিশ্বকে দেখা বেশ মজার। মুহূর্তে ছুটে চলা যায় দূর-দূরান্তে, অজান্তে। চলুন আজ চলে যাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ড্যাকেটায়। এখানকার ব্ল্যাক হিলসে (কালো পাহাড়) আকাশ আর জঙ্গলের পটভূমিকায় প্যাকটোলা হ্রদের নৈসর্গ অপূর্ব।
ব্ল্যাক হিলসের সবচেয়ে বড় জলাধার এই প্যাকটোলা হ্রদ। এর তলদেশে ডুবে আছে প্যাকটোলা শহর, একটি পুরনো খনি ক্যাম্প, কয়েকটি অস্থায়ী সামরিক তাঁবু। এগুলো ১৮৭০-এর দশকের আদি বসতির নমুনা।
প্যাকটোলা হ্রদ ব্ল্যাক হিলস জাতীয় বনের একটি বিনোদন এলাকা। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে পায়ে চলা পথে হেঁটে বেড়ানো মজার। হ্রদের পানিতে ভেসে আছে প্রমোদ তরী, সাঁতার সৈকতে ভিড়, নৌকাবাইচ চলছে, কেউবা ধরছে মাছ; মনকাড়ানিয়া দৃশ্য। হ্রদের দক্ষিণ ধারের ক্যাম্পগ্রাউন্ড (তাঁবু ফেলার আঙিনা) সুন্দর আর উত্তর তীরের ক্যাম্পগ্রাউন্ড এবং মাছ ধরার সহায়ক পথ বেশ আকর্ষণীয়।
হ্রদ এলাকায় জলবদ্ধনে (ড্যাম) গ্রীষ্মকালে একটি পরিদর্শক কেন্দ্র চালু থাকে। ড. র্যাপিড ক্রিক নদী প্যাকটোলা হ্রদের পানির উৎস। আবার এই র্যাপিড ক্রিক নদীই এর প্রধান পানি নির্গমন পথ। এ নদীতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি বিশাল জলবন্ধন। ১৯৭২ সালে ব্ল্যাক হিলস বন্যার পরে এই জলবন্ধনকে আরো সম্প্রসারণ করা হয়েছে। হ্রদের বিশাল জলরাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি সেচ, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চাহিদা মেটানো ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
ছোট শহর সিলভার সিটিসহ হ্রদ এলাকায় বেশ ক’টি সুন্দর স্থান রয়েছে।
প্রতি বছর অনেক মানুষ প্যাকটোলা হ্রদে ভিড় জমায়।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement