২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তেইশ.
‘আমার ইয়াং বন্ধুদের সঙ্গে আপনার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি,’ দু’জনকে বললেন লেভিন। রেজা-সুজার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তদন্ত করতে এসেছে ওরা, বললেন না। বললেন, স্কুলের ম্যাগাজিনের জন্য তথ্য জোগাড় করতে এসেছে।
‘পরিচিত হয়ে খুশি হলাম,’ টাক মাথা লোকটা বললেন। রেজা-সুজা জানল, ইনিই মিস্টার কার্টারের নার্স-সঙ্গী ক্রিস্টোফার। মিস্টার কার্টার শুধু সামান্য মাথা ঝাঁকালেন দুই গোয়েন্দার দিকে তাকিয়ে।
‘ডিনার রেডি হয়ে যাবে শিগগিরই,’ মেহমানদের বললেন লেভিন। তারপর রেজা-সুজাকে নিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগোলেন।
‘দু’জনের কাউকেই শিকারি মনে হয়নি আমার কাছে,’ সুজা বলল।
‘শিকারি নয়ও,’ লেভিন বললেন। ‘ওঁরা বার্ড-ওয়াচার।’
‘পক্ষী-পর্যবেক্ষক।’ বিড়বিড় করল সুজা।
স্প্রিং লাগানো একজোড়া সুইং ডোর ঠেলে খুললেন লেভিন। চমৎকার করে সাজানো-গোছানো মস্ত একটা রান্নাঘরে ঢুকলেন দুই গোয়েন্দাকে নিয়ে। মশলাদার রান্নার সুগন্ধ ভুরভুর করছে ঘরের বাতাসে।
লম্বা, আকর্ষণীয় চেহারার একজন ধূসর-চুলওয়ালা মহিলা স্টোভের সামনে দাঁড়িয়ে হাতা দিয়ে বড় একটা পাত্রের সুপ নাড়ছেন। মুখ তুলে ছেলেদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন। ‘তোমরা নিশ্চয় রেজা আর সুজা,’ মিষ্টি কণ্ঠে বললেন তিনি। ‘আমি ক্যাথি লেভিন। তোমরা আসবে, জর্জ আমাকে বলেছিল।’ সামান্য মলিন হয়ে এলো তার হাসি। ‘আশা করি, আমাদের সমস্যাটার সমাধান করে দিতে পারবে তোমরা।’
‘আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব,’ দৃঢ়কণ্ঠে রেজা বলল।
ঠিক এই সময়, ঘরের এক পাশের একটা স্প্রিং লাগানো দরজা খুলে গেল। ঘরে ঢুকল ছিপছিপে এক তরুণী। বয়েস আঠারো। সোনালি চুলগুলো মাথার পিছনে টেনে নিয়ে বাঁধা, ঘোড়ার লেজের মতো ঝুলছে ঘাড়ের ওপর। দুই হাতে খাবারের দুটো বড় বড় টিন। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement