দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
একুশ.
‘ডাকাতির টাকা না তো?’ অনুমান করল রেজা।
ভুরু কোঁচকাল সুজা। ‘তেরো বছর আগে ডাকাতি হওয়া টাকা? এত বছর পরে আলমারির ওপরের চিলেকোঠায় খুঁজতে এসেছে বলতে চাও?’
‘হয়তো নতুন কোনো সূত্র পেয়ে গেছে কেউ। টাকার সন্ধান জেনে গেছে। যা-ই হোক, ভূতের সঙ্গে কারবার করছি না আমরা, এটা ঠিক। যে আমাকে লাথি মেরেছে, সে একজন মানুষ, অনেক বড় পা। জুতোর সাইজের ছাপ দেখেই বোঝা যায়।’ উঠে দাঁড়িয়ে ভেজা তোয়ালেটা ওয়াশ বেসিনে ছুঁড়ে ফেলল রেজা। ‘চলো এখন, জর্জ আঙ্কেলের স্ত্রী ও ভাতিজির সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।’ জ্যাকেটটা গায়ে দিয়ে দরজার দিকে এগোল ও।
নিজের জ্যাকেটটা টান দিয়ে তুলে নিয়ে ভাইকে অনুসরণ করে রাতের ঠাণ্ডা বাতাসে বেরিয়ে এলো সুজা।
লজের বারান্দায় পৌঁছে দেখল ওদের অপেক্ষায় সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন হেইডেন ও লেভিন।
‘গাড়ির ব্রেকটার কথা আলোচনা করছিলাম আমরা,’ দুই গোয়েন্দা বারান্দায় উঠলে লেভিন বললেন।
বিস্মিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন হেইডেন। ‘আমার সারা জীবনের পেপার কোম্পানির চাকরিতে এমন কাণ্ড আর দেখিনি। খুব দক্ষ মেকারিড ছিল ওখানকার সবাই। বুঝতেই পারছ, শহর থেকে বহুদূরে এখানে কাজ করতে হতো ওদের।’
‘আপনি কি লগার?’ সুজা জিজ্ঞেস করল।
‘না না!’ হাসলেন হেইডেন। ‘ওসব গাছ কাটাকাটির কাজ আমার ভালো লাগে না। করাত দেখলে ভয় পাই। পনেরো বছর ধরে মেইনটেন্যান্সে কাজ করেছি। পানির পাইপ মেরামত আর ইলেকট্রিকের কাজ করেছি কিছুদিন। তারপর থেকে একটানা গ্যারেজে কাজ করেছি। ভারী গাড়ির ইঞ্জিনই বেশি সারাতাম।’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা