১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চার.
‘বিপদটা কি?’ জানতে চাইল সুজা।
‘অদ্ভুত কিছু ঘটছে ওখানে,’ ভ্রƒকুটি করলেন মুরাদ সাহেব। ‘অবৈধভাবে পেতে রাখা জানোয়ার ধরার ফাঁদে না দেখে পা দিয়ে জখম হচ্ছেন গেস্টরা। রাত দুপুরে করাত দিয়ে গাছ কাটার শব্দ শোনা যায়।’
মৃদু শিস দিয়ে উঠল রেজা। ‘হুঁ, অদ্ভুতই।’
মাথা ঝাঁকালেন মুরাদ সাহেব। ‘জর্জের আশঙ্কা, এসব কথা ছড়িয়ে পড়লে লোকে ভয় পেয়ে যাবে, ওখানে আর বেড়াতে যেতে চাইবে না। ওর ব্যবসার ক্ষতি হবে।’
‘শুধু এই? নাকি আরো কিছু আছে?’ রেজার প্রশ্ন। ‘খুলেই বলো না, বাবা।’
ছেলের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন মুরাদ সাহেব। ‘শুনলে তোমরা বিশ্বাস করবে নাÑ গেস্টরা নাকি মাঝে মাঝেই ভূত দেখে।’
‘ভূত?’ সুজা বলল, ‘ওসব কে বিশ্বাস করে!’
‘বললামই তো, বিশ্বাস করতে চাইবে না,’ হাত ওল্টালেন মুরাদ সাহেব। ‘তবে অদ্ভুত কিছু একটা যে দেখছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ফাঁদ, করাতের শব্দ, এসবের সঙ্গে এই ভূতকে যুক্ত করলে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে জর্জের।’
‘একটা ভুতুড়ে হান্টিং লজ, এই একটা খবরই গেস্টদের দূরে রাখার জন্য যথেষ্ট,’ রেজা বলল। ‘যে শান্তি ও আনন্দ পেতে যায় ওরা ওখানে, তা আর থাকবে না।’
‘হ্যাঁ, শান্তি আর আনন্দের জন্যই গভীর বনের ভিতরে ওই হান্টিং লজে বেড়াতে যায় লোকে। সি-প্লেন ছাড়া যাওয়ার অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। লজের কাছে একট লেক আছে, তাতে প্লেন নামানো হয়।’
‘কোনো রাস্তা নেই?’ সুজার প্রশ্ন।
‘আছে, পুরনো রাস্তা। আগে বনের ভিতর থেকে গাছ কেটে ওই রাস্তা দিয়ে বয়ে আনা হতো। বনের বিশ মাইল ভিতরে এঁকেবেঁকে ঢুকে গেছে। এখন ওটার অবস্থা খুব খারাপ। বহুকাল মেরামত করা হয় না।’ জোরে নিঃশ্বাস ফেললেন মুরাদ সাহেব। ‘মেইন জায়গাটা দারুণ, বুঝলে! গেছি আমি ওখানে। পাইন ও হেএলোকের বন, গুঞ্জন তুলে বয়ে যাওয়া বাতাসের শব্দ, বাজনার মতো মনে হয়Ñ ওই যে কবি বলেছেন : মার্মারিং পাইনস অ্যান্ড দা হেএলোক!’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement