দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
দুই.
‘বাবা ঘুমাচ্ছে না তো?’ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল সুজা। ‘অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে তো ঘুমিয়েই কাটাচ্ছে।’
রেজা-সুজার বাবা মুরাদ সাহেব চৌধুরী পেশাদার শখের গোয়েন্দা। আগে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে কাজ করতেন, এখন চাকরি ছেড়ে চলে এসেছেন আটলান্টিকের তীরের একটা ছিমছাম ছোট্ট সুন্দর শহর ইয়েলো বিচে। তার ছেলেদেরও তারই মতো গোয়েন্দাগিরির নেশা। কয়েক দিন আগে একজন সন্দেহভাজনকে অনুসরণ করতে গিয়ে গর্তে পড়ে আহত হয়েছেন। গোড়ালি মচকে গেছে ভীষণভাবে। ডাক্তার তাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।
‘যাচ্ছি তো জিজ্ঞেস করতে,’ সুজা বলল। ‘কিন্তু মা আর মিনাফুপুর কথায় বাবা এখন আমাদের বেড়াতে যেতে মানা না করলেই বাঁচি।’
‘মনে হয় করবে না,’ মুচকি হাসল রেজা। ‘আমরা সবাই মিলে তার পা নিয়ে খবরদারি করে করে মাথা খারাপ করে দিয়েছি। আমাদের বিদেয় করতে পারলে দু’জনের হাত থেকে অন্তত বাঁচবে।’ দরজায় টোকা দিয়ে মোলায়েম কণ্ঠে ডাকল ও, ‘বাবা? জেগে আছো?’
ভিতর থেকে জবাব এলো, ‘এসো।’
দরজা খুলল রেজা। সুজাকে নিয়ে ঘরে ঢুকল।
দুটো বালিশে পিঠ দিয়ে আধশোয়া হয়ে আছেন মুরাদ সাহেব। বুকের ওপর খোলা পড়ে আছে একটা রহস্য উপন্যাস। ব্যান্ডেজ করা পা-টা রাখা আরেকটা বালিশের ওপর।
‘কি হয়েছে?’ ছেলেদের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন মুরাদ সাহেব।
‘বাবা, একটা সমস্যায় পড়েছি,’ বিছানার দিকে এগোল সুজা। ‘ফ্লোরিডায় যাওয়ার সবচেয়ে ভালো পথ কোনটা হবে, বুঝতে পারছি না...’
ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই বিছানার পাশে রাখা টেলিফোন বাজল। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা