২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বিয়াল্লিশ.
এক সেকেন্ড দেরি না করে রেস্টুরেন্টে ছুটল দুই গোয়েন্দা। এক কোণে একটা টেবিলে ভিকুরামকে বসে থাকতে দেখা গেল। রেজা-সুজাকে এগোতে দেখে অর্ধেক উঠে পড়ল চেয়ার থেকে। কেটে পড়ার উপায় নেই ভেবেই বোধহয় ধীরে ধীরে বসে পড়ল আবার।
‘আপনি ভিকুরাম, তাই না?’ জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘তাতে তোমার কী?’
‘একটা চুনি পাথরের আংটি সম্পর্কে কয়েকটা প্রশ্ন ছিল।’
‘আমি আংটি পরি না।’ হাত দেখাল ভিকুরাম।
কিনে আনা আংটিটা পকেট থেকে বের করল রেজা। ‘এখন পরেননি বটে, কিন্তু এই আংটিটা আপনার। কোথায় পেয়েছিলেন?’
আংটিটা কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলল ভিকুরাম। চিৎকার করে উঠল, ‘পাজি ছেলে কোথাকার!’
আংটিটার দিকে ঘুরে দাঁড়াল দ্ইু গোয়েন্দা। তুলতে গেল রেজা। এই সুযোগে চেয়ার থেকে উঠে পাশের দরজার দিকে দৌড় দিলো ভিকুরাম।
পিছু নিলো দুই গোয়েন্দা। ধরতে পারল না লোকটাকে। রেজা বলল, ‘এই লোকটাই তোর কাছ থেকে পাখিটা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, আর কোনো সন্দেহ নেই। যাকগে, পালিয়ে কতদূর যাবে। পাচারকারি দলের লোক হলে আবার দেখা পাবো।’
‘তা ঠিক!’ এখনই লোকটাকে ধরতে পারেনি বলে হতাশ মনে হলো সুজাকে।
গাড়ির কাছে ফিরে এলো দু’জনে। গাড়িতে উঠতে যাবে, ঠিক এই সময় বলে উঠল একটা মিষ্টি কণ্ঠ, ‘বাহ্, দারুণ আংটি পরেছ তো রেজা।’
ঘুরে দাঁড়াল দু’জনে। চোখ পড়ল ইরিনা ওয়েলসের হাসিমুখের ওপর। নেডের বোন শীলার বান্ধবী সে। সোনালি চুল। বাদামি চোখ। রেজা-সুজার গোয়েন্দাগিরিতে মাঝে মাঝেই শীলার মতো সে-ও সহায়ক হয়।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement