২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটত্রিশ.

হেলিকপ্টারে করে প্রথমে সাগর উপকূলে উড়ে এলো ওরা। সেখান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে দুটো কবুতরকে যেদিকে যেতে দেখেছিল সেদিকে এগোলো। গতি কমিয়ে রাখল পাইলট, যাতে নিচের দিকে ভালোমতো নজর রাখতে পারে রেজা।
সুজা নজর রেখেছে পিছনে। দিগন্তের দিকে। খোলা সাগরের কোনো জাহাজ থেকে তীরের দিকে কোনো বোট আসছে কিনা দেখছে। বোট দেখল না, তবে অন্য জিনিস দেখল। হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল, ‘আরেকটা কবুতর! উত্তর-পূর্ব থেকে আসছে!’
হেলিকপ্টারটাকে এক জায়গায় স্থির করে ফেলল রেড। কবুতরটা পাশ কাটানোর পর ওটার পিছু নিলো। পরের আট মাইল একনাগাড়ে কবুতরটাকে অনুসরণ করে গেল পাইলট। ইতোমধ্যে একটা ম্যাপে ওটার যাত্রাপথ চিহ্নিত করে ফেলল রেজা। উড়তে উড়তে হঠাৎ ডাইভ দিয়ে একটা বুনো জায়গায় নামতে শুরু করল কবুতরটা।
সামনে এগোনো বন্ধ করে দিলো রেড। হেলিকপ্টার নিচে নামাল ভালো করে দেখার জন্য। তীক্ষè দৃষ্টিতে যতদূর চোখ যায় তন্নতন্ন করে খুঁজল রেজা-সুজা। কিন্তু কোনো বাড়িঘর, গোলাবাড়ি কিংবা এমন কোনো জায়গা দেখল না যেখানে কবুতর পোষার খুপরি থাকতে পারে। অবাক হলো ওরা। তবে কি পাখিটা বুনো, সাধারণ পাখি? ট্রেনিং দেয়া ডাকবাহী কবুতর নয়? কাকতালীয়ভাবেই হয়তো উড়ে এসেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
সকালের বেশির ভাগটাই ইয়োলো বিচ আর এর আশপাশের অঞ্চলে খুঁজে বেড়াল ওরা। কিন্তু আর একটা কবুতরও চোখে পড়ল না।
এয়ারপোর্টে ফিরে এলো ওরা। বাইরে এসে গাড়িতে চাপল। সুজা জিজ্ঞেস করল, ‘এবার কোথায় যাব?’
‘ব্যাংকে।’ ইঞ্জিন স্টার্ট দিলো রেজা। ‘তবে তার আগে একবার জেটিতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি চুনি পাথরের আংটি পরা লোকটাকে খুঁজে পাই কিনা।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement