২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

সাঁইত্রিশ.
‘বললামই তো, চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না,’ নাসের বলল।
নটবর বললেন, টাকার কথা ভেবে কোনো সূত্র যাতে ফেলে আসা না হয়। তদন্ত করতে যা খরচ হবে, সব দেবেন তিনি। ‘ও, আরেকটা কথা, গিরিশ আসার সময় তার প্রিয় গজহকুটাকে সাথে করে নিয়ে এসেছিল। গজহক বাজপাখির আরেক প্রজাতি। এদের দিয়েও শিকার ধরা যায়। গিরিশকে খুঁজে বের করতে পাখিটা আপনাদের সহায়ক হবে।’
তারাশ আর নটবর চলে গেলে দুই ভাতিজাকে নিয়ে আবার মিটিংয়ে বসল নাসের। ‘আমার মনে হচ্ছে গিরিশের কিডন্যাপার, ডাকবাহী কবুতর, চুনি পাথর আর মানুষ চোরাচালান, সব একসূত্রে গাঁথা। তোরা প্রথমে সাগর উপকূল থেকে সূত্র খোঁজা শুরু কর। উপকূল বরাবর এগিয়ে যাবি, ডাকবাহী কবুতরের আস্তানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবি। আমি তোদের সঙ্গে থাকতে পারব না। আমাকে আবার ওয়াশিংটনে ফিরে যেতে হবে। কালই চলে যাচ্ছি।’
ভোরের প্রথম প্লেনটা ধরবে নাসের। তাই পরদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হলো পরিবারের সবাইকে। রেজা-সুজা বাজপাখিটার সেবায় ব্যস্ত হলো। ওটাকে খাবার দিলো, পানি দিলো। নাস্তা করার সময় মিনাফুপু এনে দুই হাজার ডলার দিলেন রেজার হাতে। বলে দিলেন, বেলা তিনটার আগে ব্যাংকে জমা করতে হবে। নাসেরকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে চলল দুই গোয়েন্দা। সেখানে ওদের পরিচিত পাইলট রেড ডিকেন্সের সঙ্গেও দেখা করবে। রেড একটা হেলিকপ্টারের মালিক।
‘আজ মনে হচ্ছে আমরাই প্রথম। আমাদের আগে আর কেউ আপনার হেলিকপ্টার ভাড়া করতে আসেনি,’ রেজা বলল।
হাসিমুখে জবাব দিলো রেড, ‘না। উঠে পড়ো। এবার কী তাড়া করতে চললে?’
‘ডাকবাহী কবুতর আর তাদের বাড়িঘর,’ জবাব দিলো রেজা। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement