২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

আল কিন্দি

-

আজ তোমরা জানবে আল কিন্দি সম্পর্কে । তিনি মুসলিম বিশ্বের সোনালি দিনের বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
আল কিন্দি। এক অবিস্মরণীয় নাম। মুসলিম বিশ্বের সোনালি দিনের বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। এই ব্যক্তির প্রতিভা এখনো বিশ্বের মানুষকে প্রভাবিত করে। পাশ্চাত্যেও তিনি সুপরিচিত। পাশ্চাত্যে আরবদের দার্শনিক হিসেবে তার খ্যাতি আছে।
আল কিন্দি তার সময়ের বিজ্ঞানের সব শাখায় অগাধ ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। অঙ্কশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, বায়ুবিজ্ঞান প্রভৃতিÑ সেই সময়ের প্রচলিত সব বিজ্ঞান শাখাই তার অবদানে সমৃদ্ধ হয়। সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই সন্তান বাগদাদে লেখাপড়া করেন এবং বাগদাদের পণ্ডিতদের সংস্পর্শে এসে তিনি জ্ঞান আহরণের দিকে বেশি ঝোঁকেন। খলিফা আল মামুনের ভাই আল মুতাসিম বিল্লাহর রাজত্বকালেই তার প্রতিভা বিকশিত হয়। পদার্থ, রসায়ন, দর্শন প্রভৃতির দুর্বোধ্য জটিল বিষয়ও তিনি সহজ-সরল ভাষায় প্রকাশের দক্ষতা দেখান। হয়তো এ কারণেই তার বইগুলো জনসাধারণের মধ্যে বেশি প্রচার লাভ করে।
জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা দেখালেও দর্শন ও ধর্মশাস্ত্রের মুনশিয়ানাই তাকে করে বেশি খ্যাতিমান। বিভিন্ন বিষয়ে এ পর্যন্ত তার ২৭০টি বইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। অঙ্ক, জোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিষবিজ্ঞান, জ্যামিতি এবং সংখ্যা বিষয়ে তার লেখা বই রয়েছে। অঙ্কশাস্ত্রের সব শাখায় বই লেখা ছাড়াও তিনি বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়েও বই লিখেছেন। পদার্থবিদ্যা ও সঙ্গীত বিষয়ে তার বেশ ক’টি বই রয়েছে। সঙ্গীতের যন্ত্রপাতি তৈরি করতে গিয়ে পরিমাপ বিষয়ে অঙ্কের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি আটটি বই লেখেন। আরবদের মধ্যে তিনিই প্রথম সঙ্গীতবিদ্যাকে অঙ্কের মাপকাঠিতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার পন্থা উদ্ভাবন করেন।
বহুভাষী হওয়ায় জ্ঞানের রাজ্যে তার বিচরণ বেশি ফলপ্রসূ হয়। তার ভাষাজ্ঞান বিশ্বের হারানো জ্ঞানভাণ্ডার পুনরুদ্ধারে বেশ সহায়ক হয়।
তার জন্ম ইরাকের কুফায়, ৮০১ সালে। মৃত্যু বাগদাদে, ৮৭৩ সালে। তিনি এখনো বরণীয় ও স্মরণীয়।


আরো সংবাদ



premium cement