২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
অভিযান

দুই গোয়েন্দার অভিযান-১০ পর্ব

-

রেজা আর সুজা দুই ভাই। রেজা বড়। সুজা ছোট। বাংলাদেশী। আমেরিকায় বসবাস। হাইস্কুলের ছাত্র। শখের গোয়েন্দা। অ্যাডভেঞ্চার ওদের রক্তে। রহস্যের নেশায় পাগল। নতুন যুগের নতুন গোয়েন্দা ওরা। নতুন নতুন অভিযানে ঝাঁপ দিয়ে ঘুরে বেড়ায় দুনিয়াময়... ছত্রিশ. ‘করব,’ জবাব দিলো নাসের। ‘ইতোমধ্যেই আমার ভাতিজারা একটা সূত্র খুঁজে পেয়েছে।’ ‘তাই? কী সূত্র?’ বিস্মিত হলেন দুই ভারতীয়। ডাকবাহী কবুতরের সাহায্যে পাঠানো চুনি পাথর দুটোর কথা তাদেরকে জানাল নাসের। শুনে আরো অবাক দু’জনে। চুনি পাথর পাওয়ার সাথে গিরিশের সম্পর্ক থাকতে পারে, দু’জনই একমত হলেন। এমনও অনুমান করলেন, কবুতরটাকে যেখান থেকে পাঠানো হয়েছে, কিংবা যে গন্তব্যে যাচ্ছিল ওটা, সেখানে আটকে রাখা হয়েছে গিরিশকে। ‘যেখানে যাচ্ছিল সেখানে হওয়াই স্বাভাবিক,’ নাসের বলল। ‘কারণ কবুতরটা এসেছিল সাগরের দিক থেকে। আমার বিশ্বাস গিরিশকে আটকে রাখা হয়েছে ডাঙার কোনোখানে। জায়গাটা খুঁজে বের করার সাধ্যমতো চেষ্টা করব আমরা।’ সামনে ঝুঁকলেন চেয়ারে বসা তারাশ। ‘যদি বেঁচে থাকে, গিরিশের কোনো ক্ষতি হওয়া চলবে না। ও আমার ছেলের মতো। গিরিশ যখন অনেক ছোট, হরিশ একবার আমাকে তাঁর বাড়িতে দাওয়াত করেছিলেন।’ নটবরের দিকে তাকালেন তিনি, ‘সেবারকার চিতা শিকারের কথা মনে আছে আপনার?’ ‘নিশ্চয় আছে,’ জবাব দিলেন নটবর। ‘আপনি যেভাবে প্রাণের পরোয়া না করে গিরিশকে বাঁচিয়েছিলেন, জীবনে ভুলবে না হরিশ।’ ‘হুঁ।’ নাসেরর দিকে ফিরলেন তারাশ। ‘আমাদের কথা শেষ হয়েছে, মিস্টার নাসের। নটবরকে নিয়ে আমি এখন ওয়াশিংটনে ফিরে যাব। ও কোথায় আছে, শত্রুদের জানানো চলবে না, তাই যেখান দিয়ে ঢুকেছি আমরা সেখান দিয়েই বেরিয়ে যাবো। যাই হোক, গিরিশকে যদি খুঁজে বের করে দিতে পারেন, আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব আমরা।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement