২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

পঁয়ত্রিশ.

নাসেরের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলেন নটবর, ‘গিরিশ কাপুর যে আমেরিকায় পড়ালেখা শেষ করতে এসেছে, এ খবর জানেন?’
‘কাল রাতে একটা খবরের কাগজের পাতা থেকে জেনেছি,’ জবাব দিলো রেজা। বোটহাউজে আগুন লাগার কথা খুলে বলল সে।
‘নিউ ইয়র্কে ঠিকমতোই পৌঁছে ছিল গিরিশ,’ নটবর জানালেন। ‘তারপর কিডন্যাপ হয়ে গেছে।’
‘কিডন্যাপ!’ একসাথে বলে উঠল রেজা, সুজা, নাসের। সুজা জিজ্ঞেস করল, ‘কখন?’
‘মাসখানেক আগে। মুক্তিপণের মূল্য চাওয়া হয়েছে চুনি পাথরে। ভারতের একটা বিশেষ জায়গায় পাথরগুলো রেখে আসতে বলা হয়েছিল আমাদের। ওদের কথামত রেখে এসেছি আমরা। তুলে নেয়া হয়েছে পাথরগুলো। কিন্তু গিরিশকে ছাড়েনি।’
‘আর কোনো খবর পাননি?’ প্রশ্ন করল রেজা।
‘পেয়েছি। মুক্তিপণ চেয়ে আরেকটা নতুন নোট এসেছে। আরো চুনি পাথর চেয়েছে। রেখে আসতে হবে বিশেষ জায়গায়। প্রথমটার মতোই এটাতেও হুমকি দিয়ে লিখেছে, মুক্তিপণ না দিলে কিংবা এ ব্যাপারে পত্রিকায় খবর ছাপা হলে গিরিশকে হত্যা করা হবে।’
এক মুহূর্ত থামলেন নটবর। ‘আমি... আমার মনে হচ্ছে গিরিশ বেঁচে নেই। কিন্তু আশা ছাড়তে পারছেন না তার বাবা।’
তারাশ বললেন, ‘গিরিশের বাবা হরিশ কাপুর নটবরকে আমেরিকায় পাঠিয়েছেন কিডন্যাপারকে খুঁজে বের করার জন্য। নটবর আমার ঠিকানা জানে। সাহায্যের জন্য সোজা আমার কাছে চলে গেছে।’ নাসেরের দিকে তাকালেন তিনি। ‘আমি ওকে আপনার কাছে আসার পরামর্শ দিলাম। গিরিশকে খুঁজে বের করতে ওকে সাহায্য করবেন?’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement