২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চৌত্রিশ.

রাত নামছে। দরজায় ঘণ্টা বাজার অপেক্ষায় আছে ওরা। কিন্তু ঘণ্টা বাজল না। পিছনের দরজায় থাবা পড়ল। লাফ দিয়ে উঠে ছুটল ওরা। রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে দরজা খুলে দিলো নাসের। দু’জন লোক দাঁড়িয়ে আছে।
‘তারাশ খান!’ প্রায় চেঁচিয়ে উঠল নাসের।
‘মনে হলো আমাদের পিছু নেয়া হয়েছে,’ ঘরে ঢুকতে ঢুকতে জানালেন তারাশ খান। ‘এরকম অস্বাভাবিক একটা জায়গা দিয়ে ঢোকার জন্য মাপ চাইছি।’
কালচে ঘেঁষা বাদামি চামড়ার লোক তারাশ খান। বয়েস পঞ্চাশের কাছাকাছি। কপালে ভাঁজ। বর্তমানে পরিস্থিতির কারণে ভাঁজগুলো আরো গভীর দেখাচ্ছে। তার সঙ্গীর বয়েস দশ বছর কম। নিজের নাম জানালেন নটবর বাগচী। হরিশ কাপুরের বিশ্বস্ত লোক। সম্পর্কে খালাত ভাই।
তারাশ জানালেন, নটবর বাগচি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী। আমেরিকায় আত্মগোপন করে থাকতে চান বলে আসল নামটা কাউকে বলেন না। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে দেন, মিস্টার ভি, অর্থাৎ মিস্টার ভারত।
দু’জনের সাথে হাত মেলাল নাসের। ভাতিজাদের পরিচয় করিয়ে দিলো। হাত মেলানোর পালা শেষ হলে বলল, ‘চলুন, আমার স্টাডিতে বসে কথা বলি। ওখানে আমরা নিরাপদ। জানালা বা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আড়ি পেতে কেউ শুনতে পারবে না।’
পথ দেখিয়ে দুই আগন্তুককে দোতলায় নিয়ে এলো নাসের। সবাই বসার পর বাজপাখিটা এনে তারাশকে দেখাতে চাইল রেজা। কিন্তু মানা করে দিলেন তারাশ। ‘এ ক’দিনে যেটুকু উন্নতি তোমরা করেছ, পাখিটা আমাকে দেখলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। দেখা যাবে তখন আর তোমাদের মানতে চাইছে না।’
সঙ্গীর দিকে ফিরলেন তিনি। ‘আপনার কথা এবার শুরু করতে পারেন, নটবর।’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement