দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০
ঊনিশ.
‘খাক। সেটা তো আর খেলা নয়, খেয়ে বাঁচার জন্য শিকার করে ওরা,’ ফুপু বললেন। তর্কটা হয়তো আরও কিছুদূর এগোতে। কিন্তু মিসেস জনসন এসে টেবিল পরিষ্কার শুরু করল। নাসের হাত ধুতে উঠে চলে গেল। রেজা-সুজাও উঠল।
চাচাকে পাখিটা দেখানোর জন্য গ্যারেজে নিয়ে এলো দু’জনে। দেখতে দেখতে নাসের বলল, ‘শিকারি বাজের সাহায্যে রহস্যের সমাধান করা, দারুণ মজা পাবি। আমার কাজ না থাকলে আমিও তোদের সাথে থাকতাম।’
‘চাচা,’ রেজা জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার কি মনে হয় পাচারকারীদের সাথে এই চুনি পাথরের কোনো সম্পর্ক আছে?’
‘হ্যাঁ, আছে,’ জবাব দিলো নাসের। ‘এবং দুটো রহস্যের মধ্যে যোগসূত্র হলো এই ক্যারিয়ার পিজিয়নটা।’
আরও কিছুক্ষণ কথা বলল ওরা। তারপর উপসংহার টানল নাসের, ‘যাই হোক, এই রহস্যগুলোর সমাধান করার ভার এখন তোদের। যা ভালো বুঝবি করবি। আমাকে এখন যেতে হবে। আমার কেসটা শেষ করা জরুরি। তোদের সাথে যোগাযোগ রাখব।’
‘তুমি চলে যাচ্ছ?’ সুজার প্রশ্ন।
‘হ্যাঁ। আবার ওয়াশিংটনে ফিরে যেতে হবে। আমাকে এয়ারপোর্টে দিয়ে আসতে পারবি?’
‘পারব।’
গাড়িতে করে চাচাকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিলো দু’জনে। রেজাকে বলল সুজা, ‘হাশিমকে ফোন করা যাক। কাজটা যখন করবই, দেরি করে লাভ কী?’
‘তা ঠিক,’ একমত হয়ে মাথা ঝাঁকাল রেজা। ‘ফ্যালকনারি সম্পর্কে যত বেশি জানব, কাজে লাগবে।’
বুড়ো কম্বল ব্যবসায়ীকে ফোন করল সে। নিজের পরিচয় দিলো। তারাশ খান ওদেরকে কী করতে বলেছে, জানাল।
অবাক হলো হাশিম। কিন্তু খুশি হয়েই ওদেরকে ফ্যালকনারি শেখাতে রাজি হয়ে গেল। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা