দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ০২ জুন ২০২০, ০০:০০
সতের.
ভারতীয়ই বেশি। ঠিক কোনখান দিয়ে ঢুকছে, ধরতে পারেনি ইমিগ্রেশন। তবে ইয়েলো বিচকে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
‘ইয়েলো বিচ!’ বিস্মিত হলো রেজা।
‘আমি আপাতত কেসটা হাতে নিতে পারছি না, আরেকটা জরুরি কাজে ব্যস্ত। ওটা শেষ না করে এই মানুষ-চোরাচালানের দিকে মনোযোগ দিতে পারব না।’ চোখ টিপে চাচা বলল, ‘তবে তোরা ইচ্ছে করলে চেষ্টা করে দেখতে পারিস।
‘তার মানে, চাচা, তুমি আমাদেরকে এই কেসের তদন্ত করতে বলছ!’ উত্তেজনায় খাবার চিবানো বন্ধ হয়ে গেল রেজার। ‘কোনো সূত্র দিতে পারো?’
‘সূত্র দিতে পারব না, তবে সাহায্য করতে পারে এমন লোকের খোঁজ দিতে পারব,’ ভাতিজাদের উত্তেজনা দেখে হাসল নাসের। ‘ওয়াশিংটনে থাকতে একজন পুরানো বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার, ভারতীয় ব্যবসায়ী, আমদানি-রফতানির ব্যবসা করে। তার দেশের লোক বেআইনিভাবে আমেরিকায় ঢুকছে জানিয়েছি তাকে। কেসের তদন্তের ভার তোদের ওপর দেবো, এটাও বলেছি। দেশের বদনাম হয় এমন যে কোনো কিছুতে বাধা দিতে রাজি আছে সে। কথা দিয়েছে তোদের সব রকমের সহযোগিতা করবে।’
‘পাচারকারীদের ব্যাপারে তোমার কী ধারণা?’ রেজার প্রশ্ন।
‘আমার ধারণা, জাহাজে করে মানুষ পাচার করে ওরা। ওদের দলের লোক যারা ডাঙায় আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ তো রাখতেই হয়, তবে সেটা রেডিও, টেলিগ্রাফ, এমনকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও করে না। কারণ ওসব যন্ত্রের সাহায্যে পাঠানো মেসেজ পুলিশের রিসিভারে ধরা পড়ার ভয় আছে। আমি শিওর, বিচিত্র কোনো উপায় বেছে নিয়েছে এই অতি চালাক পাচারকারীর দল। জাহাজ থেকে ডাঙায় ওদের গোপন আস্তানায় ডাকবাহী কবুতরের সাহায্যে গোপনে মেসেজ পাঠায় ওরা। তারাশ খানকে বলেছিলাম। সে-ও আমার সঙ্গে একমত।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা