দুই গোয়েন্দার অভিযান- ১০ পর্ব
- রকিব হাসান
- ৩০ মে ২০২০, ০১:৩৮, আপডেট: ৩০ মে ২০২০, ০১:৩০
রেজা আর সুজা দুই ভাই। রেজা বড়। সুজা ছোট। বাংলাদেশী। আমেরিকায় বসবাস। হাইস্কুলের ছাত্র। শখের গোয়েন্দা। অ্যাডভেঞ্চার ওদের রক্তে। রহস্যের নেশায় পাগল। নতুন যুগের নতুন গোয়েন্দা ওরা। নতুন নতুন অভিযানে ঝাঁপ দিয়ে ঘুরে বেড়ায় দুনিয়াময়...
চৌদ্দ.
হাসল সুজা, ‘কোনো আপত্তি নেই আমার। রেজা, তোর?’
খাওয়া নিয়ে মাথা ঘামাল না রেজা। উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, ‘জুয়েলারের কাছে নিয়ে গেলেই বোঝা যাবে, সত্যি এগুলো চুনি কিনা!’
পাথরগুলো রুমালে জড়িয়ে পকেটে রেখে দিলো সে। মরা কবুতরটাকে মাটিচাপা দিলো ওরা। তারপর গাড়িতে করে চলে এলো ইয়েলো বিচের একটা বড় জুয়েলারির দোকানে। বাজপাখিটাকে নিয়ে বসে রইল সুজা। দোকানে ঢুকল নেড ও রেজা। মিনাফুপুর গহনা কেনার কল্যাণে দোকানের মালিক মিস্টার মিকহ্যাম রেজার পরিচিত। ওর দিকে মুখ তুলে হাসলেন।
‘আরে, রেজা, কী ব্যাপার?’
রুমালটা থেকে পাথর দুটো বের করল রেজা। ‘একটু আগে এ দুটো পেলাম। আপনার কাছে জানতে এসেছি এগুলো আসল না নকল।’
প্রথমে আঙুল দিয়ে পাথরগুলো ডলে দেখলেন মিকহ্যাম। তারপর ম্যাগনিফাইং গ্লাস বের করে ভালোমতো দেখলেন। ‘এত নিখুঁত চুনি আমি কমই দেখেছি। কোথায় পেলে?’
প্রশ্নটা এড়িয়ে গিয়ে রেজা বলল, ‘তার মানে সত্যিই মূল্যবান। পুলিশের কাছে জমা দেয়া দরকার।’
জুয়েলারকে ধন্যবাদ দিয়ে নেডকে নিয়ে গাড়িতে ফিরে এলো সে। কী জেনে এসেছে সুজাকে জানাল। ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে লাগল দু’জনে। নেড মনে করিয়ে দিলো, পাথরগুলো ওদের খামারের সীমানায় পাওয়া গেছে।
‘তার মানে বলতে চাস,’ সুজা বলল, ‘এই রহস্যের সমাধানে তোকেও আমরা সাথে নিই?’
রহস্য সমাধান মাঝে মাঝে খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। জবাব দিতে দ্বিধা করল নেড, ‘তা তো নিবিই। চুনিগুলো আসল মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে যে পুরস্কারটা পাবি, তারও ভাগ দিবি।’ শেষ কথাটা রসিকতা করে বলল সে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা