আইটা ফিলিপাইনের প্রাচীনতম জাতি
- মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
- ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০
আজ তোমরা জানবে আইটা সম্পর্কে । এরা ফিলিপাইনের প্রাচীনতম জাতি। প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত ভূমিসেতু হয়ে এরা ফিলিপাইনে পৌঁছে। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
ফিলিপাইন এশিয়ার দেশ । এ দেশের আইটা একটি প্রাচীন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। ধারণা করা হয়, এরা ফিলিপাইনের প্রাচীনতম জাতি। প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত ভূমিসেতু হয়ে এরা ফিলিপাইনে পৌঁছে। ভূমিসেতুগুলোর কিছু এলাকায় পানিও ছিল। তার মানে এরা স্থল ও জলপথ ব্যবহার করে ফিলিপাইনে পৌঁছে। এই অভিবাসন চলার সময়ে মালয় উপদ্বীপের সাথে সুমাত্রা ও সুন্দার দ্বীপগুলো সংযুক্ত ছিল। লুজন দ্বীপের পার্বত্য এলাকায় এরা বাস করে। এ জাতি কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। এদের গায়ের রঙ কালো। দেহের কাঠামো খাটো ও ছোট। চুল কোঁকড়ানো। এদের নাক চ্যাপটা, মোটা, ডগা উপরের দিকে কিছু উল্টানো। এরা কথা বলে আইটা ভাষায়।
আইটারা পার্বত্য বনের যাযাবর জাতি। বনান্তরে ঘুরে এরা পশুপাখি শিকার করে এবং ফলমূল ও লতাপাতা জোগাড় করে। বনের পশুপাখি এবং উদ্ভিদ থেকেই এদের খাবার তৈরি করা হয়। পশু শিকারে এরা তীর-ধনুক ব্যবহার করে।
আইটা পুরুষ নেংটি পরে এবং নারী ঘাগড়ার মতো কাপড় কোমরে জড়িয়ে রাখে। আজকাল কিছু আইটা প্যান্ট ও টি-শার্ট পরে। এরা পায়ে রাবারের চপ্পল পরাও শুরু করেছে।
আইটারা বেশ সরল। ভূমির মালিকানা এবং সম্পদ সম্পর্কে এদের তেমন ধারণা নেই। এদের ঘরগুলোও খুব সাধারণ। খুঁটির ওপর এরা ঘর তৈরি করে।
বনভূমি কমে যাওয়ায় এদের জীবনযাত্রা বেশ পাল্টে গেছে। অনেক আইটা আবাসভূমির বাইরে অন্য এলাকায় গিয়ে জমি চাষ, নারকেল সংগ্রহ বা বাঁশ কাটার কাজ করছে। আর নারীরা বিভিন্ন পরিবারে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে। যে সমতলে এরা পরের বাড়িতে কাজ করছে, একসময় এ ভূমি এদেরই ছিল। বহিরাগতদের আক্রমণ বা স্পেনীয়দের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আইটারা সমতল ছেড়ে বন-পাহাড়ে চলে যায়। অন্য জাতি দখল করে সমতল। পরে আইটারা বন-পাহাড়ি জাতি হিসেবে পরিচিতি পায়, এমন ধারণা অনেক বিশেষজ্ঞের।
বহিষ্কার, নতুন স্থান বা এলাকায় প্রতিষ্ঠাস্থাপন, ভূমিদাসবৃত্তি, ভিক্ষুকাবস্থা ইত্যাদি কারণে আইটাদের জীবন দুর্বিষহ।
আইটারা আইটা ধর্ম পালন করে। এরা বিশ্বাস করে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী একজন আছেন। তবে এরা আত্মা ও দেবতায়ও বিশ্বাস করে। কিছু আছে সর্বপ্রাণবাদে বিশ্বাসী।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা