১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মুসলিম মনীষী

আল মনসুর

-

আজ তোমরা জানবে আল মনসুর সম্পর্কে । তিনি শুধু ইসলামি সাম্রাজ্যের শাসকই নন, একজন বৈজ্ঞানিকও।
লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্


আল মনসুর দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা। তিনি শুধু ইসলামি সাম্রাজ্যের শাসকই নন, নিজেও একজন বৈজ্ঞানিক। তার শাসনকাল ৭৫৪-৭৭৫ সাল। জন্ম ৭১৪ সালে এবং মৃত্যু ৭৭৫ সালে। জ্যোতির্বিজ্ঞান সাধনা আল মনসুরের প্রিয় বিষয়। রাজকীয় কাজ থেকে সামান্য অবসর পেলেই তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান সাধনায় হতেন মগ্ন। তাকে বলা হয় আরবের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ইউরোপীয় ঐতিহাসিক বোসো সাহেব বলেন, ‘আরব জ্যোতির্বিদের মধ্যে খলিফা আল মনসুর সর্বপ্রথম।’ খলিফা আল মনসুর খুবই বিদ্যোৎসাহী ও জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে আরব বৈজ্ঞানিকেরা গ্রিক, রোমান, আর্য প্রভৃতি মৃত সভ্যতার দর্শন, বিজ্ঞান ইত্যাদি ব্যাপকভাবে অনুবাদ শুরু করেন। এর ফলে ওইসব সভ্যতার বিজ্ঞান ও দর্শন আজো টিকে আছে।
অনেক বৈজ্ঞানিক আল মনসুরের রাজদরবারের সভাসদ ছিলেন। এদের মধ্যে ইসহাক আল ফাজারি, ইয়াকুব ইবনে তারিক, আবু ইরাহিয়া আল বাতারিক, নও-বখত ও মাশাল্লাহ্র কথা উল্লেখ করা যায়।
৭৬৭ সালে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক কঙ্ক আল মনসুরের দরবারে যান। তিনি জোতির্বিজ্ঞানে মুসলমানদের অনুপ্রাণিত করেন। জোতির্বিজ্ঞানী কঙ্ক (বাঙ্কায়ন) ৭৭১ সালে ভারতের বিখ্যাত বই ‘সিন্দহিন্দ’ সাথে নিয়ে মনসুরের দরবারে হাজির হন এবং খলিফার আতিথেয়তা লাভ করেন।
খলিফা মনসুরের সদিচ্ছায় বাগদাদ বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর ফলে মুসলমানেরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে যশস্বী হতে থাকে।
বিশ্ব সভ্যতায় অবদান রাখার জন্য এখনো আল মনসুর স্মরণীয় ও বরণীয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement